• ফানুস, লেজ়ার আলোর বিপদ এড়াতে নজর দুই কমিশনারেটের
    আনন্দবাজার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • বিমান চালাতে চালাতে অনেক সময়েই পাইলটের নজরেআসে আকাশে লেজ়ার আলো কিংবা ফানুসের উপস্থিতি। তার জেরে মাঝ আকাশে বিপত্তির আশঙ্কাও থাকে ষোলো আনা। একাধিক বার বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে সংলগ্ন বিধাননগর এবংব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিভিন্ন থানায় এ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে এ বারআগেভাগেই সতর্ক হচ্ছে দুই কমিশনারেট। পুজো কমিটি, আবাসন সমিতি, বাজার সমিতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রেস্তরাঁ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক সেরে ফেলেছেন পুলিশ কর্তারা।

    পুলিশ জানিয়েছে, কালীপুজো ও দীপাবলি উপলক্ষে কোনওভাবেই লেজ়ার আলো ব্যবহার করা যাবে না। এই নিয়ম ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। ইতিমধ্যেই নজরদারির কাজও শুরু হয়েছে। শ্যামাপুজো থেকেজগদ্ধাত্রী পুজো কিংবা পরে বর্ষশেষের অনুষ্ঠান— প্রায় সবেতেই যথেচ্ছ লেজ়ার আলো ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাচক্রে কয়েকবছর আগেই ভিআইপি রোডে একটি বড় পুজোয় রাতে লেজ়ার আলো জ্বালিয়ে শো করা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। শুধু লেজ়ার আলোই নয়, বিমান ওঠানামার পথে বিপত্তির আশঙ্কা থাকে ফানুসের উপস্থিতি নিয়েও। এ নিয়ে একাধিক বার অভিযোগওউঠেছে। সে ক্ষেত্রেও শুধু বিমানবন্দরের পার্শ্বস্থ থানাই নয়, আশপাশেরথানাগুলিও নজর রাখবে বলে পুলিশ সূত্রের খবর।

    বিমানবন্দর থানা সংলগ্ন বিমানবন্দর, রাজারহাট,নারায়ণপুর, ইকো পার্ক, বাগুইআটি এবং দক্ষিণ দমদম, দমদম, নিউ ব্যারাকপুর, মধ্যমগ্রাম, বারাসত এলাকায় শ্যামাপুজো ঘিরে জনসমাগম ঘটে। সে সব দিকে নজর রেখে পুলিশইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ শব্দবাজি থেকে ডিজের ব্যবহার নিয়ে পদক্ষেপ করতে শুরু করেছে। দোকান, বাজার এবং বিশেষত আবাসনএলাকাগুলিতে বৈঠক করা হয়েছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক পুলিশ কর্তার কথায়, ‘‘আবাসনগুলিতে বাজির ব্যবহার, ছাদ থেকে বাজি ছোড়ার মতো ঘটনায় সংশ্লিষ্টকর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে। নিয়ম ভঙ্গ করলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও প্রয়োজনে পদক্ষেপ করা হবে। সে কথা তাঁদের জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।’’ নিমতা থানা এলাকায়ইতিমধ্যেই ৬০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দুই কমিশনারেটের বিভিন্ন থানা এলাকায় সে দিকে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

    বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অতীশ বিশ্বাস জানান, লেজ়ার আলো ও ফানুস নিয়ে বিপদের কথা মাথায় রেখে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ পুজোর আগেই যোগাযোগ করেছিলেন। তাই ইতিমধ্যেই পুজো কমিটিগুলিকে এই বিষয়ে বিধিনিষেধের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

    লেজ়ার আলো, ফানুস থেকে শুরু করে শব্দবাজি, ডিজে ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণে যেমন কড়াকড়ি চলছে, তেমনই বাজি বা বাহারি আলোকে কেন্দ্র করে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এড়াতেও থানাভিত্তিক ভাবে বাসিন্দাদের সচেতন করার কাজ চলছে। বিধাননগরের এক পুলিশ কর্তা জানান, এক দিকে বিধিনিষেধ সম্পর্কে আয়োজক থেকে বাসিন্দাদের সতর্ক করা হচ্ছে। তেমন ভাবেই শব্দবাজি ও লেজ়ার আলোর ব্যবহার বন্ধ করতে নজরদারি চলছে।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)