• নদী পেরিয়ে নাগরাকাটার দুর্গত এলাকায় সবজি ও ফল পৌঁছে দিচ্ছে কৃষি বিপণন দপ্তর
    বর্তমান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বন্যা ও ধস কবলিত উত্তরবঙ্গের চার জেলায় ত্রাণ সরবরাহের পাশাপাশি চালু হয়েছে সুফল বাংলার ৬৫টি ভ্রাম্যমাণ বিপণি। আজ, বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়িতে এসে এমনটাই জানালেন রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না। তিনি বলেন, ধস ও বন্যার জেরে উত্তরের যে চারটি জেলা (দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার) ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেখানে আগে থেকেই সুফল বাংলার একশোটি বিপণি রয়েছে। দুর্যোগের জেরে অনেক জায়গায় যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। সেকারণে সুফল বাংলার আরও ৬৫টি ভ্রাম্যমাণ বিপণি চালু করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নিয়ন্ত্রিত বাজার সমিতির মাধ্যমে দুর্গত এলাকায় ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে।মন্ত্রীর দাবি, এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে ৬৪৩ কুইন্টাল আলু, ১৫০ কুইন্টাল পেঁয়াজ সরবরাহ করা হয়েছে। এরমধ্যে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে দার্জিলিং জেলায় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য ২৪ হাজার কেজিরও বেশি আলু পাঠানো হয়েছে। কালিম্পং জেলার দুর্গতদের জন্য আলু পাঠানো হয়েছে ১৭ হাজার কেজি। আলিপুরদুয়ার নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে ওই জেলার দুর্গতদের জন্য সরবরাহ করা হয়েছে ১১০০ প্যাকেট ত্রাণ সামগ্রী। বিপর্যয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটার বামনডাঙা ও টন্ডু। ওই গ্রামগুলির দুর্গতদের জন্য নিয়মিত সবজি ও আনাজ, ফল পাঠাচ্ছি আমরা। সেতু ভেঙে যাওয়ায় নদী পেরিয়ে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফল, সবজি। একইসঙ্গে সুফল বাংলার দু’টি ভ্রাম্যমাণ বিপণির মাধ্যমে ওই এলাকায় ন্যায্য মূল্যে আলু, পেঁয়াজ, সবজি ও ফল বিক্রি করা হচ্ছে।কৃষি বিপণন দপ্তর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে নিয়ন্ত্রিত বাজার থেকে ৬৬ কুইন্টাল আলু, ২২ কুইন্টাল পেঁয়াজ সরবরাহ করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ারে আগে থেকেই সুফল বাংলার ২০টি বিপণি ছিল। দুর্গত এলাকায় সবজি, ফল পৌঁছে দিতে আরও ৩০টি ভ্রাম্যমাণ বিপণি খোলা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলায় নিয়ন্ত্রিত বাজারের মাধ্যমে এপর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়েছে ৫৪২ কুইন্টাল আলু, ১২৭ কুইন্টাল পেঁয়াজ। এই জেলায় আগে থেকেই সুফল বাংলার ৯টি বিপণি ছিল। বিপর্যয়ের জেরে আরও ১৪টি ভ্রাম্যমাণ বিপণি চালু করা হয়েছে। দার্জিলিং জেলায় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলিতে নিয়ন্ত্রিত বাজারের মাধ্যমে ৩৩ কুইন্টাল আলু পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিং জেলায় আগে থেকেই সুফল বাংলার ৩০টি বিপণী রয়েছে। আরও ১২টি ভ্রাম্যমাণ বিপণি খোলা হয়েছে। কালিম্পং জেলায় খোলা হয়েছে সুফল বাংলার বাড়তি চারটি বিপণী। বন্যায় কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিস্তীর্ণ এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেখানে সুফল বাংলার অতিরিক্ত ৫টি বিপণি চালু করা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)