উত্তরবঙ্গের ডলোমাইট দূষণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন স্পিকার
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
উত্তরবঙ্গে বাড়ছে ডলোমাইট দূষণ! প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর নতুন উদ্বেগ মাথাচাড়া দিল। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ইতিমধ্যেই বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। ডলোমাইট দূষণের ফলে কতটা নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে উত্তরবঙ্গের প্রকৃতিতে, তার স্বরূপ স্পিকারের কাছে তুলে ধরেন সুমন। বুধবার বিধানসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর আবেদন, ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সরেজমিনে পর্যবেক্ষণের জন্য উত্তরবঙ্গে প্রতিনিধিদল পাঠানো হোক। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্পিকার। তবে কিভাবে এই ডলোমাইট দূষণ? স্পিকারের অভিযোগ, ভুটানের পাহাড় থেকে নেমে আসা জলের সঙ্গে মিশে আসছে ডলোমাইট! আর তাতেই কৃষিজমিতে ছড়াচ্ছে বিষ। শুধু ফসল নয়, মানুষের শরীরেও ফেলছে মারাত্মক প্রভাব। রং বদলে যাচ্ছে মৃত্তিকার, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে মানুষের।
এই প্রসঙ্গে ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশনের দাবিতে সরব হয়েছেন স্পিকার। বিমান বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ভুটান থেকে ডলোমাইট ভেসে এসে ব্যাপক ক্ষতি করেছে কৃষিজমিতে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনায় বসব। ইন্দো-ভুটান রিভার কমিশনের বিষয়টি ফের তোলা জরুরি। আগেরবার বিজেপির অনীহার কারণেই প্রতিনিধিদল গঠন করা যায়নি। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অন্যরকম, এই বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়েও অনেক বেশি।’ প্রসঙ্গত, এই ডলোমাইট মূলত ভুটানের খনিজ সম্পদ, যা সিমেন্ট শিল্পে ব্যবহৃত হয়। পাহাড় কেটে উত্তোলনের পর সেগুলি পড়ে থাকে পাদদেশে। অতিবৃষ্টির জল সেই গুঁড়ো ডলোমাইট বয়ে আনে ভারতীয় সীমান্তে। এরপর আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চা, ধান ও সবজি চাষের জমিতে জমছে এই ডলোমাইট। শালকুমার গ্রামে শিসামারা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবন ঘটে, সেই স্রোতেই ঢুকে পড়ে সাদা বিষ। ফলস্বরূপ বিঘার পর বিঘা জমিতে নষ্ট ফসল। কেবল চাষের জমি কিংবা ফসলই নয়, শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কৃষকরা।