বিশেষ সংবাদদাতা, নয়াদিল্লি: ভারতে চন্দন কাঠের উন্নয়ন এবং অতীত গৌরব পুনরুদ্ধারের জন্য কেন্দ্রকে একগুচ্ছ সুপারিশ করল চন্দন কাঠ উন্নয়ন কমিটি। বুধবার দিল্লিতে কমিটির তরফে এবিষয়ে একটি বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে কীভাবে চন্দন কাঠের চাষ গ্রামীণ কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে এবং চন্দন কাঠ ও এর বিভিন্ন উপজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যেতে পারে, তার দিশা দেখানো হয়েছে।
দেশের চন্দন কাঠের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি যাতে এক্ষেত্রে ভারত আত্মনির্ভর হয়ে উঠতে পারে তার জন্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারগুলিকে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ এবং সংস্কার করতে হবে বলেই সুপারিশ করেছে কমিটি। দেশের চন্দন কাঠের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কী কী সমস্যা রয়েছে এবং তার সমাধানের রাস্তা খোঁজার লক্ষ্যেই প্রাক্তন অর্থসচিব রতন প্রকাশ ওয়াটালের নেতৃত্ব এই কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটি বিভিন্ন রাজ্য সরকারের বন বিভাগ-সহ বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা ও পরামর্শ করার পর একশো কুড়ি পাতার রিপোর্ট তৈরি করেছে।
বুধবার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান প্লাইউড অ্যান্ড প্যানেল ইন্ডাস্ট্রি তথা ফিল্পি-র তরফে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রিপোর্টটি প্রকাশ করেছেন ওয়াটাল। অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের আধিকারিকদের পাশাপাশি, গ্রিন প্লাই ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের সিএন্ডএমডি রাজেশ মিত্তল এবং ফিল্পি-র সভাপতিও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি চিঠি লিখে পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবের কাছে দেশে চন্দন গাছের চাষ ও বাণিজ্য নিয়ে কেন্দ্র সরকারের একটি জাতীয় নীতি তৈরি করার দাবি করেছিলেন। তারপরেই নড়েচড়ে বসে সরকার। এখন এদিনের প্রকাশিত কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ অনুযায়ী কেন্দ্র সরকার কী কাজ করে সেটাই দেখার অপেক্ষা।