• বালি পাচার মামলার তদন্তে আসানসোল-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি ইডির! হানা কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটেও
    আনন্দবাজার | ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • বালি পাচার মামলার তদন্তে ফের সক্রিয় হল ইডি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম, আসানসোলের বেশ কয়েকটি ঠিকানায় গিয়ে তল্লাশি চালান ওই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। দীর্ঘ সময় ধরে অভিযানের পরে সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে আসানসোল ছাড়েন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অভিযানে কিছু টাকাও পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু টাকার অঙ্ক এখনও স্পষ্ট নয়।

    কলকাতার বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট চত্বরেও গিয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সেখানকার একটি সংস্থার অফিসে তল্লাশি চালানো হবে। কিন্তু এখনও ওই অফিসে ঢুকতে পারেননি ইডির আধিকারিকেরা। আসানসোলের মুর্গাশোল এলাকায় মণীশ বাগারিয়া নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই মণীশ বালির কারবারের সঙ্গে যুক্ত। সরকারি টেন্ডার থাকা সত্ত্বেও মণীশ অবৈধ ভাবে বালির কারবার করত বলে অভিযোগ।

    এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর বালি পাচার মামলার তদন্তের সূত্রেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল লক্ষ লক্ষ টাকা। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে মেদিনীপুরের বালি ব্যবসায়ী সৌরভ রায়ের বাড়ি থেকে প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিলেন তদন্তকারীরা। ওই দিনের তল্লাশিতে গোপীবল্লভপুরে আর এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকেও প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল বলে ইডি সূত্রে জানা যায়। উল্লেখ্য, ঝাড়গ্রামে একাধিক বালি খাদান রয়েছে সৌরভের। লালগড়ে রয়েছে বিশাল বাংলো ও অফিস। মূলত সেখান থেকেই ব্যবসা পরিচালনা করতেন সৌরভ। ইডি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সৌরভের অফিসেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

    লালগড়ের সিজুয়ায় কংসাবতী নদীতে একটি সংস্থার বালি খাদানে ইডির একটি প্রতিনিধিদল হানা দেয়। বালি খাদানের অফিসে ইডির আধিকারিকেরা বালি বিক্রির চালান অর্ডার (সিও)-সহ একাধিক নথি খতিয়ে দেখছেন বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, জাল চালান বানিয়ে বালি পাচার করার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্য সংগ্রহ করতেই খাদানের অফিসে চিরুনি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সিজুয়ার ওই বালি খাদানে বালিবোঝাই করতে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ১০০টি ডাম্পার এবং লরি। গাড়িগুলিকে আপাতত বালিবোঝাই করতে নিষেধ করা হয়। যে লরিগুলিতে বালিবোঝাই করা হয়ে গিয়েছিল, সেগুলি খালি করে দিতে বলা হয়। সেই মতো বালি নামিয়ে দিয়ে বহু লরি চলে যায়।

    অন্য দিকে, গোপীবল্লভপুরের সুমিত্রপুরে সুবর্ণরেখা নদীর একটি বালি খাদানে হানা দেয় ইডির অন্য একটি দল। জানা গিয়েছে, সুমিত্রাপুরের বালি খাদানে হানা দেওয়ার পর ওই বালি খাদানের অফিসে অভিযান চালান তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, সুমিত্রাপুরের বালি খাদানটি ঠিকাদার তথা বালি ব্যবসায়ীর।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)