মিল্টন সেন, হুগলি: শ্রীরামপুরে আয়োজিত তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে শুভেন্দুকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি। আক্রমণ শানালেন বিজেপিকে। স্মরণ করিয়ে দেন বাম আমলের অপকীর্তির নানা কথাও। দুর্গাপুরব কাণ্ডে বিরোধী শিবির মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে। কিন্তু, কল্যাণের দাবি, বুদ্ধদের ভট্টাচার্যের আমলেই সবচেয়ে বেশি খুন, ধর্ষণ হয়েছে।
কল্যান ব্যানার্জি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, "এখন এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৬ এর ভোটে কত হাজার ভোটে তোমাকে হারাতে হয় শুধু দেখে নিও। তুমি মমতা ব্যানার্জিকে চ্যালেঞ্জ করছ। কত বড় নেতা? আমি তোমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম। শ্রীরামপুর কেন্দ্রের যে কোনও একটা আসনে দাঁড়িয়ে যদি জিতে দেখাও। তবে বুঝব তুমি বাপের ব্যাটা।"
দুর্গাপুর নিয়েও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করছেন বলেই অভিযোগ শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, "দুষ্কৃতীদের কোনও ধর্ম নেই। তাঁরা দুষ্কৃতী। দুর্গাপুরে যে ঘটনাটা ঘটেছে শুভেন্দু অধিকারী, সেটা নিয়েও হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করছেন।"
আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা ভোট। সেই প্রসঙ্গে কল্যাণবাবু বলেন, "আগামী ২০২৬শে নির্বাচন বড় লড়াই। লড়তে হবে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। লড়তে হবে ভারতীয় জনতা পাটির বিরুদ্ধে। আগে বিজেপি যত ভুয়ো ভোটার আছে তাদের নাম ভোটার তালিকা থেকে কাটতে হবে। শুভেন্দুর কোনও ক্ষমতা নেই। ও নির্বাচন কমিশন, গভর্নর, সিআরপিএফ, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার উপর নির্ভর করে থাকে। এই বাংলায় দাঁড়িয়ে লড়াই করতে গেলে নরেন্দ্র মোদিকে তিনবার জন্ম নিতে হবে। রাজ্যপাল বিজেপির এজেন্ট। কোনও উপকারে লাগে না। এসআইআর-টা ঠিক করে না করলে প্রচণ্ড সমস্যা হবে। এই একটা বড় লড়াই। সবথেকে বড় ডাকাত শুভেন্দু অধিকারী।"
বামেদের বিরুদ্ধে লড়াই রাজনীতিতে পোক্ত হয়েছেন কল্যাণ ব্যানার্জী। সে কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, "বিজেপি আর সিপিএম ভাগারের দিকে তাকিয়ে আছে। লক্ষ্য, কোথায় খুন হল। কোথায় ধর্ষণ হল। লাফিয়ে পরো। কোন্নগরে বাম জামানায় কোন মেয়েরা সন্ধ্যা সাতটা আটটার সময় বাইরে বেরোতে পারতো না। বামেরা এখন বড় বড় কথা বলছে, ওরা তো সব ধর্ষণের নায়ক। । ২০০৭ সালে বামফ্রন্টের হার্মাদ বাহিনী নন্দীগ্রামে ১২ ঘন্টায় ৫০ জন মহিলাকে ধর্ষণ করেছিল। বামফ্রন্ট মানে খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সময় পশ্চিমবাংলায় সবথেকে বেশি গণহত্যা হয়েছে। বাংলার সব থেকে বেশি সর্বনাশ করে গিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। আর আজকে কিছু বামপন্থী বড় বড় কথা বলছে। তাদের অতীত কেউ ভুলে যায়নি। ওর ছবি টাঙিয়ে যতই ইনটেলেকচুয়াল বলুন না কেন, আমরা এখনও বলি ছিঃ বুদ্ধ ছিঃ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আপনি কদর্য ইতিহাস তৈরি করে গিয়েছেন।"