জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তৃণমূলের (AITC) সাংগঠনিক রদবদল (organisational restructure) চলছে। এই রদবদল চলছে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। এবার নজরে বিভিন্ন পুরসভার পারফরম্যান্স (Municipality)। আগামী এক মাসের মধ্যে রাজ্যের একাধিক পুরসভার দায়িত্বে রদবদল হতে পারে। পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দিয়েই হতে পারে সেই বদল। তৃণমূল সূত্রে খবর, যারা দলে থেকেও দলের কাজ করেনি। তাদের চিহ্নিতকরণ শুরু হয়েছে। সেই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে তৃণমূল।
২০২৬ এ বিধানসভা নির্বাচন (WB assembly election 2026)। আর তার আগেই সুপ্রিম নেতৃত্বের নির্দেশে তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদল চলছে। কিসের ভিত্তিতে চলছে রদবদল? তৃণমূল সূত্রে খবর শাসক দলে এই সাংগঠনিক রদবদল চলছে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। এক্ষেত্রে এবার নজরে বিভিন্ন পুরসভার পারফরম্যান্স। আগামী এক মাসের মধ্যে রাজ্যের একাধিক পুরসভার দায়িত্বে রদবদল হতে পারে। তৃণমূল সূত্রে খবর, পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দিয়েই হতে পারে সেই বদল।
যারা দলে থেকেও দলের কাজ করেনি। তাদের চিহ্নিতকরণ শুরু হয়েছে। সেই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে তৃণমূল। এমনটাই দলীয় সূত্রে খবর।
এরইমধ্যে বিধানসভা ভোটের আগে ব্লক স্তরে দক্ষিণবঙ্গর একাধিক জেলায় রদবদল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর মধ্যে হাওড়া শহর ও গ্রামীণ রয়েছে। হুগলি, শ্রীরামপুর ও আরামবাগ সাংগঠনিক জেলাও আছে। এছাড়াও আছে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা, বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে পদ দেওয়ার ক্ষেত্রে যেমন লোকসভা ভোটের পারফরম্যান্সকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে ঠিক তেমনই সাংগঠনিক পদ থেকে বাদও পড়তে পারেন অনেকে। পারফরমেন্সের ভিত্তিতেই হবে এই রদবদল।
তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নতুন কমিটি ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংগঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন তাঁরাই। আবার ছাত্র নয় এমন পঞ্চাশ শতাংশের বেশি নেতাকে জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিতর্কিত ছাত্র নেতাদের দেওয়া হয়েছে জেলার দায়িত্ব।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস তাঁদের ছাত্র সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে চাইছে। তার জন্য তারা জেলা সভাপতি পরিবর্তন করেছে। এমনকী, রাজ্য কমিটিতেও পরিবর্তন আসছে। যে যে নামগুলির সংযোজন হয়েছে তা নিয়ে বিরোধী দলগুলি বিতর্ক তৈরি করেছে। এমন অনেক ছাত্র নেতার নাম রয়েছে যাঁদের বিরুদ্ধে থানায় FIR রয়েছে। অনেকে আবার পড়াশোনার সঙ্গেও যুক্ত নন।
অভিযোগ থাকার পরও কেন এই পদন্নতি?
তৃণমূল কংগ্রেস মনে করেছে, এই সকল ছাত্র নেতারা লড়াই করতে পারবে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই কারণে পদন্নোতি। TMCP রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, 'সাব্বির ভীষণভাবে পলিটিক্যাল ডায়নামিক একটা ছেলে। ওর সকলের একটা যোগাযোগ রয়েছে। সাব্বির বা সৃঞ্জনকে আসলে বিজেপি ভয় পেয়েছে। সেই কারণেই এদের সম্বন্ধে অভিযোগ করছে। আর মানুষদের মধ্যে এদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। আর যাঁদের কথা বলছেন তাঁরা সারা বছর ছাত্রদের পাশে থাকে। বিপুল জনপ্রিয়তা আছে। আর দল দেখেছে যে এদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনও সত্যতা নেই।” বিজেপি মুখপাত্র দেবজিৎ সরকার বলেন, “এটা তো তৃণমূলের কালচার। ওরা যেটা করছে সেটা তো সবাই জানে। যে যত বদমাসি ভাল করতে পারবে সে তত উপরে যাবে।'
বিধানসভা ভোটের আগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে এই রদবদল। দলীয় সূত্রে এই রদবদল অত্যন্ত তাৎপর্যপূণ হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।