হাড়হিম আতঙ্কের সমাপ্তি! বন দপ্তরের গুলিতে মৃত্যু উত্তরপ্রদেশের ‘মানুষখেকো’ নেকড়ের
প্রতিদিন | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেকড়ে আতঙ্কে কাঁপছিল উত্তরপ্রদেশের বহরাইচ জেলার জঙ্গল সংলগ্ন একাধিক গ্রাম। প্রায় দেড় মাসের সেই হাড়হিম আতঙ্কের অবসান ঘটল বৃহস্পতিবার। বন দপ্তরের গুলিতে মৃত্যু হল ‘মানুষখেকো’ পুরুষ নেকড়েটির।
জানা গিয়েছে, ওই নেকড়ের হামলায় চার শিশু-সহ ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। জখম হন ২০ জনেরও বেশি। পরিস্থিতি এমনই দাঁড়িয়েছিল যে, মানুষ বাড়ি থেকে বেরতেই ভয় পাচ্ছিলেন। এই পরিস্থিতিতে এদিন সকালে নেকড়েটিকে দেখতে পান কাইজারগঞ্জের স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন বন দপ্তরকে। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে যান দপ্তরের প্রতিনিধিরা। জানা গিয়েছে বন দপ্তরের প্রাথমিক লক্ষ্যই ছিল নেকড়েটাকে ধরা। কিন্তু সেটা পালানোর চেষ্টা করতে থাকায় অবশেষে গুলি করেই হত্যা করা হয় সেটিকে। মৃত নেকড়ের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকটি দল গড়ে তল্লাশি চালাচ্ছিল বন দপ্তর। এমনকী রাতে পাহারা দেওয়া কিংবা ড্রোনের সাহায্যে তল্লাশি চালানোও হচ্ছিল। অবশেষে মিলল সাফল্য। এই নিয়ে পরপর দু’টি নেকড়েকে মারল বন দপ্তর। তবে শোনা যাচ্ছে, আরও দু’টি নেকড়ে গুলিতে জখম হয়েছে। তাদের এখনও খোঁজ মেলেনি। এরা সকলেই একটি দলের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। বন দপ্তর জানিয়েছে, দ্রুত গোটা দলটিকেই ধরে ফেলতে তৎপর তারা।
গত সেপ্টেম্বরে এক শিশুর মৃত্যু হয় নেকড়ের হামলায়। বাউন্দি থানা এলাকার ভাউরি বাহরওয়া গ্রামে একটি তিন মাসের শিশুকে নেকড়ে তুলে নিয়ে যায়। পরে শিশুটির দেহাংশ উদ্ধার হয় খেত থেকে। সেই থেকেই আতঙ্ক দানা বাঁধতে থাকে। পরপর নেকড়ের কবলে পড়তে থাকেন মানুষ। অবশেষে দুই নেকড়ের মৃত্যুতে কিছুটা স্বস্তিতে গ্রামবাসী।