• দু’পক্ষের মধ্যে ধুন্ধুমার মারপিট, থামাতে গিয়ে নিজেই হামলার ‘শিকার’ শ্রীরামপুরের পঞ্চায়েত উপপ্রধান
    প্রতিদিন | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • সুমন করাতি, হুগলি: মারপিট থামাতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। বৃহস্পতিবার সকালে শ্রীরামপুরে ঠিকাদারের সঙ্গে স্থানীয় যুবকের মারপিটের ঘটনা থামাতে যান উপপ্রধান। অভিযোগ, তাকেই মারধর করে স্থানীয় ওই যুবক। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়।

    জানা গিয়েছে, রাজ্যধরপুর পঞ্চায়েত এলাকায় এক রাজমিস্ত্রীর ঠিকাদারকে মারধর করে স্থানীয় যুবকরা। সেই সময় পাশের চায়ের দোকানে বসে ছিলেন রাজ্যধরপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবাংশু দে। জানা গিয়েছে, দুই পক্ষকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন দেবাংশু। সেই সময় সমাজবিরোধীরা পাল্টা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। মারার পরে, রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান ওই তৃণমূল নেতা। তাঁকে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে শ্রীরামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করছেন আক্রান্ত তৃণমূল নেতা।

    তাঁর দাবী, সকালে চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন তিনি। সেই সময় স্থানীয় এক সমাজবিরোধী একজন ঠিকাদারের উপর চড়াও হয়ে তাঁকে মারধোর করতে শুরু করে। দেবাংশু বলেন, স্থানীয় ওই যুবক জানিয়েছেন ঠিকাদারের এক কর্মী পাড়ার একজন মহিলাকে কটুক্তি করে। সেই ঘটনায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঠিকাদারকে মারধোর করে ওই যুবক। দেবাংশু তাদের ছাড়াতে গেলে ওই সমাজবিরোধী তাঁকেই মারধোর করে বলে অভিযোগ করেছেন উপপ্রধান।

    উপপ্রধানের অভিযোগ, “আমার চশমা ভেঙে দিয়েছে। মুখের ভেতরে কেটে গিয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে সেখানে সেলাই করাতে হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করি। সব দলের মানুষ আমাকে ভালোবাসে। কিন্তু আজকে কেন এরকম হলো সেটা বুঝতে পারছি না।”

    দেবাংশুর ধারণা, “মনে হচ্ছে সমাজ বিরোধীরা আবার মাথাচারা দিচ্ছে। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের প্রশ্রয় কিনা, তা এখনই বলতে পারছি না। আমি অত্যন্ত ব্যাথিত এতদিন মানুষের কাজ করে আমাকে এভাবে মার খেতে হল। যে আমাকে মেরেছে তার সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। কারোর সঙ্গেই কোনও বিরোধ নেই।” শ্রীরামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)