নিষিদ্ধ সত্ত্বেও শব্দবাজি ফাটানো হচ্ছে? রাজ্যের পদক্ষেপে আস্থাপ্রকাশ হাই কোর্টের
প্রতিদিন | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
গোবিন্দ রায়: দীপাবলি ও কালীপুজোয় নিষিদ্ধ হওয়া শব্দবাজি ফাটানো নিয়ে এবার কড়া অবস্থান নিল কলকাতা হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, শব্দবাজি নিষিদ্ধকরণ নিয়ে রাজ্য যে গাইডলাইন দিয়েছে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। শুধু তাই নয়, নিয়ম মেনে বাজি পোড়ানো হচ্ছে কি না, তাও মুখ্যসচিবের কাছে জানতে চান বিচারপতিরা। যদিও এ বিষয়ে রাজ্যের পদক্ষেপেই আস্থাপ্রকাশ করল হাই কোর্ট। তিন সপ্তাহের মধ্যে গাইডলাইন কার্যকর সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে আদালতে।
শব্দবাজি বন্ধ করতে গত ২২ সেপ্টেম্বর মুখ্যসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তাতে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল, বলা হয়েছিল, শব্দবাজি নিয়ে রাজ্য যে যে গাইডলাইন বেঁধে দিয়েছে, তা মেনে চলতে হবে। এনিয়ে বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চান, রাজ্যের জারি করা সেই গাইডলাইন কি আদৌ মেনে চলা হচ্ছে? কিন্তু এনিয়ে কোনও নির্দিষ্ট তথ্য জানাতে পারেনি রাজ্য। তাতে ক্ষোভ প্রকাশ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়, আধঘণ্টার মধ্যেই যেন তা জানানো হয়। অন্যথায় তাঁকে আদালতে তলব করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন বিচারপতিরা।
এনিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, শব্দবাজি নিষিদ্ধকরণ নিয়ে শুধুমাত্র বিজ্ঞপ্তি জারি করেই দায় এড়ানো যাবে না। বিষয়টি নজরদারির মধ্যে রাখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আইনজীবী সৈকত ঠাকুরতা জানান, ”আসলে শব্দবাজি নিষিদ্ধ করতে রাজ্য অনেক পদক্ষেপই নিয়েছে। ২০২১ সালেই বলা হয়েছিল, শব্দবাজি নিষিদ্ধ করে শুধুমাত্র সবুজ বাজি তৈরি হোক রাজ্যে। কিন্তু তা কীভাবে কার্যকর হচ্ছে, সে বিষয়ে রাজ্য কিছু জানাতে পারছে না। আদালত সেটাই জানতে চেয়েছে যে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।”
এদিকে ইতিমধ্যে কলকাতা পুলিশ কিন্তু শব্দবাজি রুখতে বেশ কড়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানিয়েছেন, শব্দবাজি ফাটালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্পষ্ট বলা হয়েছে, শব্দবাজি ছাড়াও ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ফানুস ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তা করলেও শাস্তি হবে।