বঙ্গে হস্তী বেড়ে ৭০৭টি, দেশজুড়ে ২৫ শতাংশ কমল হাতির সংখ্যা, তথ্য নয়া সমীক্ষা রিপোর্টে
বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
নয়াদিল্লি ও কলকাতা: ভারতের জঙ্গলে হাতির সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে। ডিএনএ বিশ্লেষণ ভিত্তিক নয়া পদ্ধতিতে এবার হস্তী গণনার কাজ চালিয়েছে কেন্দ্র। ‘দ্য ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’র (ডব্লুআইআই) চালানো এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্তমানে দেশজুড়ে হাতির আনুমানিক সংখ্যা ২২ হাজার ৪৪৬টি। ২০১৭ সালে এই সংখ্যাটা ছিল প্রায় ২৯ হাজার ৯৬৪টি। অর্থাৎ ভারতে হাতির সংখ্যা কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। হাতিদের স্বাভাবিক বিচরণস্থলের পরিসর হ্রাস, মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষ প্রভৃতি কারণে হস্তীকুল কমছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তবে পশ্চিমবঙ্গে সামগ্রিকভাবে হাতির সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৭ সালে বাংলার জঙ্গলগুলিতে হাতির সংখ্যা ছিল ৬৮২টি। ২০২৫ সালের সমীক্ষায় তা বেড়ে হয়েছে ৭০৭। যদিও পৃথক বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, উত্তরবঙ্গে হাতি বাড়লেও দক্ষিণবঙ্গে কমেছে।
২০১৭ সালে উত্তরবঙ্গে হাতির সংখ্যা ছিল ৪৮৮টি। নয়া সমীক্ষায় অনুযায়ী, বর্তমানে তা ৪০ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৬৭৬টি। দক্ষিণবঙ্গের জঙ্গলগুলিতে হাতির সংখ্যা ছিল ১৯৪টি। বর্তমানে তা কমে হয়েছে ৩১। সামগ্রিকভাবে হাতির সংখ্যায় গোটা দেশের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ সপ্তম স্থানে রয়েছে। প্রথম স্থানে রয়েছে কর্ণাটক (৬ হাজার ১৩টি)। এরপর তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে অসম (৪ হাজার ১৫৯টি), তামিলনাড়ু (৩ হাজার ১৩৬টি), কেরল (২ হাজার ৭৮৫টি), উত্তরাখণ্ড (১ হাজার ৭৯২টি) এবং ওড়িশা (৯১২টি)।
এবারের সমীক্ষার নয়া পদ্ধতিতে হাতির মলের ২১ হাজারের বেশি নমুনার জেনেরিক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তার সঙ্গেই জঙ্গলে বসানো ক্যামেরার বিস্তৃত নেটওয়ার্কের ফুটেজ এবং ৬ লক্ষ ৬৭ হাজার কিলোমিটার জুড়ে হাতির পায়ের ছাপ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এবারের সমীক্ষায় প্রথমবার ডিএনএ বিশ্লেষণের সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে তা আগের পদ্ধতির থেকে অনেক বেশি নিখুঁত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর সেই কারণেই বণ্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞদের একটা অংশের মত, পূর্বের সমীক্ষার সঙ্গে এবারের ফলাফলের তুলনা টানা উচিত হবে না।