১২ আসনে জিততে পারে কংগ্রেস, দলের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য! প্রথম দফায় ৪৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা
বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: নামেই মহাজোট। বাস্তবে আসন বণ্টন নিয়ে জট অব্যাহত। তা নিয়েই ভোটের ময়দানে নামছে কংগ্রেস-আরজেডি-বামেরা। আজ, শুক্রবার প্রথম দফার ভোটের (৬ নভেম্বর) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। দ্বিতীয় দফার ভোটের (১১ নভেম্বর) প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ২০ অক্টোবর। দীপাবলির দিন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম দফার ২৪টি আসনে ও দ্বিতীয় দফার ২৪ আসনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল হাত শিবির। এর মধ্যে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান রাজেশ রাম এবং কংগ্রেস নেতা শাকিল আহমেদ খান। কুটুম্বা আসন থেকে ভোটে লড়বেন রাজেশ। শাকিল আহমেদ প্রার্থী হচ্ছেন কাড়ওয়া আসনে। এছাড়াও ৪৮ জনের তালিকায় পাঁচজন মহিলা ও চারজন মুসলিম প্রার্থী রয়েছেন।
দু’দফায় মনোনয়ন পর্ব শেষ হলেই বিহারে প্রচারে নামবেন রাহুল গান্ধী। পাটনা, নালন্দা, গয়া, মোতিহারির মতো জেলায় যুব এবং কৃষকদের মন জয়ে জোর দেবেন রাহুল। তুলে ধরবেন ভোট চুরির বিষয়টিকে। মহিলাদের সমর্থন পেতে প্রিয়াঙ্কাকে চাইছে নেতৃত্ব।
রাহুল গান্ধী প্রচারে নামলেও নির্বাচনে আসন বাড়ার বিশেষ সম্ভাবনা নেই বলে অভ্যন্তরীন রিপোর্ট জমা পড়েছে। যা উদ্বেগ বাড়িয়েছে এআইসিসির। ৬০ আসনে লড়ার সিদ্ধান্ত হলেও বড়জোর ১২-১৭ আসন আসতে পারে রিপোর্ট হাতে এসেছে কংগ্রেসের ভোট ম্যানেজারদের। গতবার (২০২০) আরজেডির সঙ্গে জোট বেঁধে ৭০ আসনে লড়েছিল কংগ্রেস। জিতেছিল ১৭টিতে। ছবিটা বদলাবে, এমন আশা দেখছে না দল। যদিও বলা হচ্ছে, এবার পরিবর্তন হবে।
কয়েকটি আসন নিয়ে লালুর সঙ্গে জোটের জট চলছে। কংগ্রেসের বক্তব্য, তাদের এমন আসন দেওয়া হচ্ছে, যেখানে জয়ের সম্ভাবনাই নেই। তাই আরজেডি এবং কংগ্রেসের মধ্যে ১৮টি আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই হবে বলেই দলীয় সূত্রে খবর। ফলে মহাজোট নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। কংগ্রেসের দলীয় রিপোর্টেও এবার আরজেডির আসন সংখ্যা গতবারের চেয়ে কমবে বলে ইঙ্গিত। গতবার আরজেডি ছিল রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। ১৪৪ আসনে লড়ে পেয়েছিল ৭৫। বিজেপি ১১০ আসনে লড়ে জিতেছিল ৭৪টিতে। জেডিইউ ১১৫ আসনে লড়ে জয় পায় ৪৩টিতে।
বিজেপি বিরোধী হুংকার, স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশনের সমালোচনায় ভোট চুরির মতো অভিযোগে সরব হয়েছে কংগ্রেস। এসবের মধ্যে দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের উৎসাহ বাড়লেও ভোটে ফল আশানুরূপ না হওয়ারই আভাস উঠে এসেছে রিপোর্টে। তার কারণ, প্রশান্ত কিশোরের দল। তারা প্রচুর সংখ্যক আসন না পেলেও উভয় পক্ষেরই ভোট কাটবে। ফলে প্রভাব পড়বে ভোটবাক্সে। তাই বিহারে ফের এনডিএ-র জয়ের সম্ভাবনা বাড়ছে। যদিও ভোটে পাশা যে উল্টোবে না, তা নিশ্চিত বলতে নারাজ ভোটকুশলীরা।