• শিলিগুড়িতে হবে সবচেয়ে বড় মহাকাল মন্দির: মমতা
    বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও সংবাদদাতা, দার্জিলিং: দীঘায় বানানো হয়েছে জগন্নাথ মন্দির। কলকাতায় তৈরি হচ্ছে দূর্গাঙ্গন। এবার শিলিগুড়িতে হবে বড় মহাকাল মন্দির। বৃহস্পতিবার দার্জিলিং পাহাড়ে মহাকাল মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর একথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য পাহাড়ের মহাকাল মন্দিরে গ্রিন কারের ব্যবস্থা করার কথা জানান। এজন্য জিটিএ’কে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। 

    শৈলশহর দার্জিলিংয়ের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলির মধ্যে মহাকাল মন্দির অন্যতম। এখানে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের সহাবস্থান। এদিন রিচমন্ডফ হিল থেকে হেঁটে ম্যালে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ি পথ ধরে এই মন্দিরে প্রবেশ করেন। পুজো দেন। 

    পরে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দীঘায় জগন্নাথ মন্দির করেছি। রাজারহাটে গড়ব দূর্গাঙ্গন। এজন্য ট্রাস্ট তৈরি হয়ে গিয়েছে। জমিও পাওয়া গিয়েছে। সেটি টেন্ডার করার পর্যায়ে রয়েছে। শিলিগুড়ির পাশাপাশি আরএকটা ভালো জমি ডিএমকে দেখে রাখতে বলেছি। যেখানে কনভেনশন সেন্টার হবে। তারপাশেই একটা বড় মহাকাল মন্দির গড়ব। এখানে সবচেয়ে বড় শিব স্থাপন করব। এটা করতে সময় লাগবে। আমাকে একটি ট্রাস্ট করতে হবে। তাদের দিয়েই মন্দিরটি তৈরি করা হবে। এক্ষেত্রে সবরকমভাবে সহযোগিতা করবে সরকার। জমি বিনাপয়সায় দেওয়া হবে। 

    শৈলশহরের ম্যাল রোডে পাহাড়ের চূড়ায় মহকাল মন্দির। এটি প্রায় ২৬০ বছরের প্রাচীন। অসংখ্যা সিঁড়ি ভেঙে মন্দিরে পৌঁছতে হয়। প্রাচীন এই মন্দির হাতছানি দিলেও উচ্চতার কারণে সেখানে যেতে পারেন না বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা। তাঁরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্দিরের সিঁড়িতে মাথা ঠুকে প্রার্থনা করেন। সেই সমস্যা সমাধানেও তৎপর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, বয়স্ক মানুষ ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা উপরে উঠতে পারেন না। তাঁরা যাতে এই মন্দিরে উঠতে পারেন, সেব্যাপারে জিটিএ’র চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপার সঙ্গে কথা হয়েছে। অনীতরা এখানে গ্রিন কারের ব্যবস্থা করবে। সেটি ইলেকট্রিক গাড়ি। তাতে চেপে বয়স্ক ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নরা তাতে চেপে মন্দির দর্শন করতে পারবেন। 

    এদিন মহাকাল মন্দিরে প্রবেশের আগে চৌরাস্তায় পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফুলের ডালি, খাদা, মোমবাতি নিয়ে তিনি মন্দিরে প্রবেশ করেন। মন্দির থেকে বেরিয়ে এসে বলেন, পুজো খুব ভালো হয়েছে। পর্যটকরা পাহাড়ে আসতে শুরু করেছেন। আমি নিজে বহু পর্যটকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রথমে ফ্ল্যাশ ফ্লাড হওয়ার পর পর্যটক আসা বন্ধ হয়েগিয়েছিল। সেই সময় পাহাড় থেকে প্রায় ১৫০০ পর্যটককে সুরক্ষিতভাবে নীচে নামিয়েছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসন। বহু পর্যটকের সঙ্গে দেখা হল। এখন তিনধরিয়া ও পাঙ্খাবাড়ি রাস্তা দু’টি খোলা। ১৫-২০ দিনের মধ্যে রোহিণী রোড সংস্কার হয়ে যাবে। আমি পর্যটকদের পাহাড়ে আসার আবেদন করব। উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর সোমবার রাতে পাহাড়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রবল বর্ষণ, ধস ও নদীর স্রোতে বিধ্বস্ত কার্শিয়াং, মিরিক ও সুখিয়াপোখরি পরিদর্শন করেন। বুধবার দার্জিলিংয়ে বিপর্যয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে পর্যালোচনা সভা করেন। 
  • Link to this news (বর্তমান)