শহরে বাজেয়াপ্ত ২ হাজার ৬৪১ কেজি নিষিদ্ধ বাজি, গ্রেফতার ৯
বর্তমান | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: কালীপুজোর বাকি এখনও চারদিন। তার আগেই শহর ও শহরতলিতে নিষিদ্ধ বাজির দাপট রুখতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। কলকাতা ও বিধাননগরে সবক’টি স্পর্শকাতর পয়েন্টে চলছে লাগাতার টহলদারি। ফলে ইতিমধ্যেই উদ্ধার হয়েছ ২ হাজার ৬৪১ কেজি নিষিদ্ধ বাজি। এগুলি বৈধ ‘সবুজ বাজি’ নয়। বেআইনি বাজি বিক্রি ও বহন করার জন্য কলকাতা ও বিধাননগর মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে মোট ৯ জনকে। বিস্ফোরক আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের।
লালবাজার জানিয়েছে, দুর্গাপুজোর দশমী থেকে নিষিদ্ধ বাজির দাপট শুরু হয়। সেদিন থেকেই শহরে নজরদারি শুরু হয়েছে। গত পাঁচদিনে তার মাত্রা আরও বেড়েছে। এই পাঁচদিনে খাস কলকাতা থেকে আড়াই হাজার কেজির বেশি বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭ জনকে। সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজির কারবার ধরা পড়েছে বেহালা ডিভিশনে। বৃহস্পতিবার পর্ণশ্রী থানা এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে ১০৩ কেজি বেআইনি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিনই তারাতলা থানা এলাকার দু’টি জায়গা থেকে মোট ৫৯ কেজি নিষিদ্ধ আতসবাজি উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ আসার খবর পেয়ে রাস্তাতেই বাজি ফেলে চম্পট দিয়েছে তিনজন। তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। অন্য একটি ঘটনায় ২৯ কেজি বাজি উদ্ধার ও ২ জনকে গ্রেফতার করেছে তারাতলা থানা। সরশুনা থানা এলাকায় প্রায় ১০ কেজি বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। উত্তর কলকাতার জোড়াবাগান থানা এলাকাতেও ১০ কেজি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, এয়ারপোর্ট থানা এলাকা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ২৫ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি। গ্রেফতার করা হয়েছে এক বিক্রেতাকে। নিউটাউনের টেকনোসিটি থানা এলাকা থেকে ৪৫ কেজি নিষিদ্ধ বাজি সহ গ্রেফতার করা হয়েছে আরও একজনকে।
এদিকে, উদ্বোধনের পাশাপাশি এদিন শহিদ মিনার ময়দানের বাজি বাজারের নিরাপত্তা পরিদর্শনে যান কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজকুমার ভার্মা। সেখানে কোথাও বেআইনি বাজি বেচাকেনা হচ্ছে কি না, খতিয়ে দেখেন তিনি। সিপি বলেন, ‘মোট ৩৭টি স্টল রয়েছে। বড়বাজার ফায়ার ওয়ার্ক্স ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের তত্ত্বাবধানে এই বাজি বাজার চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত।’ কলকাতা পুলিশের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৪০৩টি বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থার বাজি বিক্রি করা যাবে এই বাজি বাজারে। -নিজস্ব চিত্র