আজকাল ওয়েবডেস্ক: এনডিএ জিতলে কি বিহারে ফের মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসবেন নীতীশ কুমার? ভোটের আগে বিহার জুড়ে চর্চা তুঙ্গে। এসবের মধ্যেই নীতীশের আবারও মুখ্যমন্ত্রী হওয়া নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন অমিত শাহ। সাফ বললেন, স্পষ্ট জানালেন, "এই নির্বাচনে এনডিএ লড়ছে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে। ভোটের পর সব শরিক মিলে সিদ্ধান্ত নেবে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন।" বিহারে এনডিএ-র মধ্যে মতপার্থক্য ও নেতৃত্ব নিয়ে জল্পনার মধ্যে শাহের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, "নীতীশজি-ই এখন আমাদের নেতা। ভোটের পর সবাই একসঙ্গে বসে নেতৃত্বের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। আমি একা এ ব্যাপারে কিছু বলার মানুষ নই।"
এইবারের নির্বাচনে এনডিএ আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলবে বলে অমিত শাহ দাবি করেছেন। তনি বলেন, "২০২০ সালে বিহারে একক দল হিসাবে বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছিল। সেই সময় নীতীশ কুমার নিজেই প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলেছিলেন, বিজেপিরই মুখ্যমন্ত্রী হওয়া উচিত, কারণ বিজেপি-র আসন বেশি ছিল। কিন্তু আমরা জোটের মর্যাদা রেখেছিলাম। নীতীশজিকে তাঁর অভিজ্ঞতা ও সিনিয়রিটির জন্যই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।"
নীতীশ কুমারের দলবদলের ইতিহাস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শাহ বলেন, |"নীতীশজি আসলে কখনও কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন না। মোটে দুই-আড়াই বছরের সম্পর্ক ছিল। তাঁর রাজনীতি শুরু হয়েছিল ১৯৭৪ সালের জে পি আন্দোলন থেকে, যা ছিল ইন্দিরা গান্ধীর কংগ্রেসবিরোধী আন্দোলনের জন্মভূমি।"
এনডিএ-র বিরুদ্ধে বিহারে লড়াইয়ে তেজস্বী-রাহুল গান্ধীর মহাগঠবন্ধন। আসনরফা না হলেও জিততে মরিয়া তারা। বিরোধী জোটকে তীব্র আক্রমণ শানান অমিত শাহ। তাঁর কথায়, "বিহারের মানুষ লালুপ্রসাদের শাসন দেখেছে। তারা আর সেই দিন দেখতে চায় না, সময় যতই পালটাক না কেন।" একইসঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে শাহ বলেন, "কংগ্রেস সব সময় শরিকদের ছোট করে দেখে। বিহার থেকে শুরু করে বাংলা, এই ঔদ্ধত্যই আজ কংগ্রেসকে ছোট করে ফেলেছে।"