নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: বাংলায় দীপাবলিতে এখন নয়া ট্রেন্ড রঙ্গোলি। আর সেই ট্রেন্ডকে হাতিয়ার করেই জলপাইগুড়িতে রং বিক্রি করতে এসেছেন উত্তরপ্রদেশের বৃদ্ধ দম্পতি। উন্নাওয়ের বাসিন্দা ৬৫ বছরের মহম্মদ আলি ও তাঁর স্ত্রী মুন্নি তিস্তাপাড়ের শহরে ডিবিসি রোডের ধারে হরেক রংয়ের ডালা সাজিয়ে বসেছেন। দোকানে সাজানো রয়েছে রঙ্গোলি দেওয়ার উপকরণ। বিক্রিবাটা ভালোই হচ্ছে। জলপাইগুড়ির দিনবাজারে রঙ্গোলির রং বিক্রি করছেন উত্তরপ্রদেশের সীতাপুরের বাসিন্দা সুরজ রাও, সাহিল খান। তাঁদের দোকানেও বেশ ভালোই ভিড়। দীপাবলি উপলক্ষ্যে জলপাইগুড়িতে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে মাটির প্রদীপ থেকে, চীনা টুনি লাইট, মোমবাতি, ফুল ও রঙিন সাজসজ্জা। কিন্তু তারই মাঝে নজর কাড়ছে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দাদের রঙ্গোলির রং বিক্রির দোকান।আলি মহম্মদ বলেন, বহু বছর ধরে আমি ও আমার স্ত্রী বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে সিঁদুর, রং বিক্রি করি। উত্তরপ্রদেশ তো আছেই, বিহার ও অসমেও যাই। এবার কুম্ভমেলায় ভালোই সিঁদুর বিক্রি হয়েছে। বাংলায় রঙ্গোলির নয়া ট্রেন্ডের কথা শুনে এবার জলপাইগুড়িতে এসেছি। শহরের দিনবাজারের কাছে ঘরভাড়া করে রয়েছি। তাঁর কথায়, প্রথমে আমি ও স্ত্রী দু’জনেই এসেছিলাম। বিক্রিবাটা ভালো দেখে এক ছেলে ও তিন জামাইকেও ডেকে নিয়েছি। তারাও জলপাইগুড়ি শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রঙ্গোলির রং বিক্রি করছেন। দীপাবলি মিটলেই আবার ফিরে যাব।হাসিমুখে ক্রেতাদের রঙ্গোলির রং বিক্রির ফাঁকে আলির স্ত্রী মুন্নি বলেন, রাজস্থানের এই রং বিক্রি করেই আমাদের পেটের ভাত জোগাড় হয়। জলপাইগুড়ির মানুষজন খুবই ভালো। তাঁরা হাসিমুখে কেনাকাটা করেন। আমাদের বিক্রি করা রঙে যদি দীপাবলিতে এখানকার মানুষের ঘরবাড়ি ও মন দু’টোই উজ্জ্বল হয়, সেটাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমাদের কাছে রংয়ের প্যাকেটের দাম ৩০ টাকা থেকে শুরু। বেশি দামেরও রয়েছে। যাঁর যেমন প্রয়োজন, তেমনটা নিয়ে যাচ্ছেন।