প্রাথমিকে শূন্যপদ বাড়ানোর দাবিতে পথে চাকরিপ্রার্থীরা
দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
প্রাথমিকে শূন্যপদ বাড়ানোর দাবিতে ফের উত্তাল রাজপথ। বৃহস্পতিবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করে ন্যায়ের দাবিতে গর্জে উঠলেন প্রাইমারি টেট-ডিএলএড ঐক্য মঞ্চের সদস্যরা। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁদের মূল দাবি, ‘প্রাথমিক শিক্ষা বাঁচাতে শূন্যপদ বাড়াতেই হবে।’
বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের ঘোষণায় শূন্যপদের সংখ্যা ১৩,৪২১। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি, বাস্তবে এই সংখ্যা আরও বহুগুণ বেশি। ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীরা বলেন, এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ২০১৪, ২০১৭, ২০২২ – তিন বছরেরই টেট পাশ প্রার্থীরা আবেদন করবেন। মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং বলেছিলেন, প্রাথমিকে ৫০ হাজার শূন্যপদ রয়েছে। তাহলে পর্ষদ এত কম সংখ্যা ঘোষণা করল কেন?’
আন্দোলনকারীদের দাবি, শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড প্রাথমিক স্তর আজ ভেঙে পড়ার মুখে।
তাঁদের দাবি, রাজ্যের প্রায় ২,২০০টিরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আছেন মাত্র একজন শিক্ষক। এক কর্মীর কথায়, ‘শিক্ষক-সংকটে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। অবিলম্বে শূন্যপদ বাড়িয়ে শিক্ষক নিয়োগ না করলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি হবে।’ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রাথমিকে টেট বাধ্যতামূলক হওয়ায় কিছুটা চাপে নবান্ন। প্রায় এক লক্ষ শিক্ষককে ফের টেট দিতে হতে পারে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রিভিউ পিটিশন দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য।