• আক্রান্ত ৩০! প্রথমে জ্বর, তারপর হাত-পায়ে ব্যাথা... 'ভয় ধরিয়ে' হুগলির গ্রামে ছড়াচ্ছে 'ভয়ংকর'...
    ২৪ ঘন্টা | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • বিধান সরকার: ফের ছড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়া! হুগলির পোলবার জারুরায় ছড়াচ্ছে চিকুনগুনিয়া। এক সপ্তাহে চিকুনগুনিয়ার উপসর্গ আছে এমন প্রায় ৩০ জনের হদিশ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। জারুরা প্রাথমিক স্কুলে আজ পোলবা গ্রামীণ হাসপাতাল শিবির করে রক্ত সংগ্রহ করল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার ও মাইকে প্রচার চালানো হল পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোতেও।

    এডিস মশার কামড়েই হয় চিকুনগুনিয়া। তাই মশার কামড় এড়িয়ে চলতে হবে। পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ কৌশিক মন্ডল বলেন, গত ১০ তারিখে জারুরা গ্রামে কয়েকজনের জ্বর ও গায়ে ব্যথার বিষয়টি নজরে আসে স্বাস্থ্য কর্মীদের। তারপরই তাঁদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। ম্যালেরিয়াও ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর চিকুনগুনিয়ার পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাতেই ধরা পরে সংক্রমণ।

    জ্বর, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা, শরীরে দুর্বলতা এই রোগের উপসর্গ। ডেঙ্গির মত মৃত্যুর হার না হলেও আক্রান্তের শারীরিক দুর্বলতা থাকে প্রায় দু থেকে তিন মাস। একজন আক্রান্তের থেকে আরও অনেকে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই মশারি ব্যবহার করা, মশার কামড় এড়ানো, এলাকায় বা বাড়ির আশপাশে জল জমতে না দেওয়া, এলাকা পরিষ্কার রাখার দিকে জোর দেওয়ার কথা বলেন BMOH।

    বলেন, চিকুনগুনিয়া সংক্রমণ থেকে মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে আবার শিবির হবে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। এদিন শিবিরে উপস্থিত ছিলেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, পোলবা বিডিও জগদীশ বাড়ুই, পোলবা বিএমওএইচ কৌশিক মন্ডল, সুগন্ধা পঞ্চায়েতের প্রধান সুব্রত ঘোষ। শিবিরে মশারি বিতরণ করা হয়। মশার কামড় থেকে বাঁচতে সচেতন থাকার কথা বলেন বিধায়কও।

    পাশাপাশি, চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তরা জানান, প্রথমে জ্বর, হাত পায়ে ব্যাথা। তারপর শরীর এতটাই দুর্বল হয়ে যাচ্ছে যে, বিছানা থেকে ওঠা যাচ্ছে না। তাঁরা বলেন, একবার চিকুনগুনিয়া হলে তার রেশ থেকে যায় অনেক দিন। আর সেটাই ভয়ের।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)