রাজীব চক্রবর্তী: ভোট (WB Assembly Election 2026) যত এগিয়ে আসছে, রাজ্যে উত্তেজনার পারদ তত বাড়ছে। SIR (SIR) ইস্যুতে সারা ভারত উত্তাল। বিহারের ভোটের (Bihar Election) পর বাংলায় SIR (SIR in Bengal)এর পালা। আর সেই নিয়েই তৃণমূল বনাম বিজেপি মাঠে নেমে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছে দুই দলই।
দিল্লি থেকে তৃণমূলের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জী (Kalyan Bandyopadhyay) বিস্ফোরক বক্তব্য রেখেছেন। এর আগে সাংসদের কুকথায় তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়েছিল। এবার আবারও তাঁর বক্তব্য নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
বিজেপির প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারকে 'তুই তোকারি' ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন কল্যাণ। 'বিজেপির ওই ছোড়াটা...কী যেন নাম (সুকান্ত মজুমদার), দেখ না CISF দিয়ে গুলি চলিয়ে, ওই গুলি তোর বুকে লেগে যাবে। ওর মস্তানি বের করে দেব। বালুরঘাটে জিতেছিস ১০০০০ ভোটে, এবার দেখছি আমরা। কত বড় হিম্মত! বাংলার মানুষকে চিনিস না, ওসব উত্তরপ্রদেশে দেখাস। ওই দুৃ-চারটে সুকান্ত, হাওয়া দিলে উড়ে যাবে। যত বড়বড় কথা শুধু অফিয়ে বসে আর মিডিয়ার সামনে। মাঠে-ঘাটে কেউ আসে না। তুই শ্রীরামপুরে আয় না বক্তৃতা দিতে, তারপর তুই ঘরে ফিরে যাস কী করে দেখব!'
প্রসঙ্গত ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার (এসআইআর) বিরোধিতায় হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হলে গুলি চলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। বুধবার কলকাতায় বিজেপির তফসিলি উপজাতি মোর্চার ডাকা মিছিল শুরুর আগে সুকান্ত এই মন্তব্য করেছেন। একটি সম্প্রদায়ের নাম করে তিনি এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাল্টা ‘আগুন জ্বলা’র হুঁশিয়ারি শোনানো হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে।
গতকাল শ্রীরামপুরে আয়োজিত তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে শুভেন্দুকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি। আক্রমণ শানালেন বিজেপিকে। স্মরণ করিয়ে দেন বাম আমলের অপকীর্তির নানা কথাও। দুর্গাপুরব কাণ্ডে বিরোধী শিবির মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগছে। কিন্তু, কল্যাণের দাবি, বুদ্ধদের ভট্টাচার্যের আমলেই সবচেয়ে বেশি খুন, ধর্ষণ হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মুসলিম ভাইদেরকে, যাঁরা আমাদের ভোট দেন না, তাঁদেরও বলছি, তৃণমূলের নেতাদের কথায় রাস্তায় নামবেন না। রাস্তায় নামলে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামবে। যে রকম মুর্শিদাবাদে নেমেছিল।’ এখানেই থামেননি সুকান্ত। হুঁশিয়ারির সুর আরও চড়িয়ে তিনি বলেন, ‘যদি ভাঙচুর করেন, দোকানঘর পোড়ান, বাড়িতে আক্রমণ করেন, তৃণমূলের কোনও নেতার ছেলের জীবন যাবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী নামলে কিন্তু গুলি চলবে, আপনার বাড়ির লোকেদের গুলি লাগবে। তৃণমূলের নেতারা এসি ঘরে বসে থাকবেন। তাঁদের কিন্তু গুলি লাগবে না। তাই তৃণমূলের ফাঁদে পা দেবেন না।’ সুকান্তের পরামর্শ তথা আশ্বাস, ‘‘আগে ভাল করে বুঝুন। মুসলিম হন, হিন্দু হন, যাঁরা ভারতীয়, তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় থাকবে।’
কল্যান ব্যানার্জি রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে আক্রমণ শানিয়ে বলেন, 'এখন এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ২০২৬ এর ভোটে কত হাজার ভোটে তোমাকে হারাতে হয় শুধু দেখে নিও। তুমি মমতা ব্যানার্জিকে চ্যালেঞ্জ করছ। কত বড় নেতা? আমি তোমাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলাম। শ্রীরামপুর কেন্দ্রের যে কোনও একটা আসনে দাঁড়িয়ে যদি জিতে দেখাও। তবে বুঝব তুমি বাপের ব্যাটা।'