সৌমেন ভট্টাচার্য: শুক্রবার ভোররাতে স্ত্রীকে খুন করে চম্পট দিল স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে দমদম নাগেরবাজার থানার ছাতাকল অঞ্চলে। অভিযোগ, এদিন ভোর রাতে অমিত বোস নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী বিউটি বোসকে শ্বাসরোধ করে খুন করে চম্পট দেয়। এই পুরো ঘটনাটা প্রত্যক্ষ করেন তাদের পাঁচ বছরের পুত্র সন্তান। এরপরেই তিনি তার মামাকে খবর দেন। সেই খবর পেয়ে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজনেরা। তারা নাগেরবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
মৃত মহিলার পরিবারের দাবি, বছর ১১ আগে অমিত বোসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে বিয়ে হয় বিউটির। প্রথমে অমিত নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করলেও, পরবর্তী সময় সে কোনও কাজ করত না। বিউটি পেশাগতভাবে বিউটিশিয়ানের কাজ করত। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি দেখা দেয়। সেই থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত।
বেশ কয়েক মাস একই বাড়িতে আলাদা থাকতেন বিউটি ও তাঁর স্বামী অমিত। গতকাল অমিত তাদের সন্তানকে জানান, সে আর তার মা একসঙ্গে ঘুমাবে। এরপরেই রাতে ছেলে প্রত্যক্ষ করেন গোটা ঘটনা। এরপরেই সে তার মামাকে খবর দেয় তারপরে তারা দমদমে ছুটে আসে মধ্যমগ্রাম থেকে। পুলিস ইতিমধ্যেই দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আরজিকর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। অভিযুক্ত অমিতের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।
উল্লেখ্য, দুদিন আগে কুলতলি এক ভয়ংকর ঘটনা ঘটে। সেখানে বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় অশান্তির পালা। অভিযোগ, প্রায়ই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত কালিদাস। বারবার সহ্য করেও যখন আর পেরে ওঠেনি সুস্মিতা, তখন বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি।
সেখানেই ঘটে আরও বড় বিপদ। অভিযোগ, ১৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎই শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয় কালিদাস। স্ত্রীকে ফের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার নাম করে শুরু হয় বচসা। মুহূর্তের মধ্যেই তা রূপ নেয় হামলায়। সুস্মিতাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাকে থামাতে এগিয়ে আসেন তাঁর বাবা-মা। তাঁদেরকেও রেহাই দেয়নি অভিযুক্ত স্বামী। ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় শ্বশুর ও শাশুড়িকে। রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন সকলেই। চিৎকার শুনে ছুটে আসেন গ্রামবাসীরা।