সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: সারদা মামলায় স্বস্তি রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের। রাজীবের জামিনের বিরোধিতা করে সিবিআইয়ের করা আর্জি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলাও খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্টে। ওই মামলার পরবর্তী শুনানি ৮ সপ্তাহ পর। ফলে আগামী দুমাসের জন্য স্বস্তিতে রাজীব।
২০১৯ সালে রাজীবকে আগাম জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় সিবিআই। গত সোমবার শীর্ষ আদালতে ওই মামলাটির শুনানি ছিল। প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, ৬ বছর পরে কেন ওই মামলার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে? রাজীবের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, ২০১৯ সালেই আগাম জামিন পেয়েছেন রাজীব কুমার। এখনও পর্যন্ত সিবিআই ডাকেনি, পুরোটাই তাঁকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা। সেদিনই মামলাটি বাতিল করতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অনুরোধ করেছিলেন, এর সঙ্গে সিবিআই-তদন্তে বাধা দেওয়ার জন্য পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার শুনানি একসঙ্গে হোক। ওই মামলাও ছ’বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। শুক্রবার মামলার শুনানি ছিল প্রধান বিচারপতি বি আর গাভাইয়ের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন সিবিআইয়ের আবেদন খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত। এদিকে আদালত অবমাননার মামলাটিও ৮ সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সারদার মতো বড়সড় আর্থিক কেলেঙ্কারির তদন্তে অসহযোগিতা, তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক অভিযোগে সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন রাজীব কুমার। ২০১৯ সালে তাঁকে শিলংয়ের সিবিআই দপ্তরে নিয়ে গিয়ে জেরা করা হয়েছিল। সেখানেও তিনি তদন্তে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পেশ করেননি বলে অভিযোগ তদন্তকারীদের। পরে বেশ কয়েকবার তাঁকে হাজিরার জন্য সমন পাঠালেও উপস্থিত হননি রাজীব কুমার। নানা অছিলায় তা এড়িয়ে গিয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। পালটা জামিনের আবেদন জানান রাজীব কুমারের আইনজীবীরা।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর সেবছরই জামিন পান রাজীব। তারপরও হাই কোর্ট হয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত আইনি টানাপোড়েন চলছে। তবে আপাতত স্বস্তিতে রাজীব।