• ‘হয় দশের কম, নয় দেড়শোর বেশি’, নিজের দল নিয়ে আজব ভবিষ্যদ্বাণী পিকের, কেন?
    প্রতিদিন | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনডিএ বনাম মহাজোটের চিরাচারিত লড়াইয়ে বিহারের রাজনীতিতে তৃতীয় বিকল্প হিসাবে নিজেকে তুলে ধরেছেন প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তাঁর জন সুরজ পার্টি জাতপাতের রাজনীতিতে ক্লিষ্ট বিহারে নতুন ভোরের স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু প্রথম নির্বাচনে কেমন ফল করবে জন সুরজ? ভোটকুশলী থাকাকালীন ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য বিখ্যাত পিকে নিজের দল নিয়ে নিশ্চিত কিছু বলতে পারছেন না। বরং তিনি যা বলছেন, সেটা খানিকটা আজব।

    পিকে-র বক্তব্য, তাঁর দল জন সুরাজ পার্টি বিহারে হয় দেড়শোর বেশি আসন পাবে, নাহলে ১০টিরও কম আসনে থেমে যাবে। জন সুরজের প্রতিষ্ঠাতা আগেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন, বিহারে এনডিএ হারতে চলেছে। নীতীশ কুমারের দল পঁচিশের বেশি আসন কোনওভাবেই পাবে না। আরজেডিও খুব ভালো ফল করবে না বলেই দাবি তাঁর। পিকে-র কথায়, “বল এখন মানুষের কোর্টে। মানুষকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাঁরা কেমন সরকার চান, কেমন নেতা চান।”

    প্রশান্ত কিশোর বলছেন, বিহারের মানুষকে জাতপাতের রাজনীতির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে উজ্বল ভবিষ্যতের পথ দেখিয়েছেন তিনি। মানুষ তাঁর কথা শুনেছেন। এখন সেই কথাই মানুষ যদি ভরসা করে, তাহলে জন সুরজ পার্টি দেড়শো আসনেও থামবে না। আর মানুষ যদি সেই কথাবার্তায় আস্থা না রাখে তাহলে তাঁর দল আটকে যেতে পারে ১০ আসনের নিচে। পিকের আক্ষেপ, “এতদিন মানুষ বলত বিকল্প নেই, এখন তো আছে। যদি এখনও ভুল করেন, তাহলে পরিবর্তন হবে না। দুর্নীতি, কর্মসংস্থানের অভাব, সব একই থাকবে। বিহারের ছেলেমেয়েরা অন্য রাজ্যে কাজ খুঁজতে যেতে বাধ্য হবে।”

    বস্তুত পিকে বিহারের রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছেন ঠিকই। তাঁর কথা শুনতে মানুষ আসছে। সোশাল মিডিয়ায় তাঁকে নিয়ে শোরগোলও হচ্ছে। কিন্তু দলের সাংগঠনিক কাঠামো কেমন, মানুষ আদৌ পিকের উপর আস্থা রাখতে পারবে কিনা, সেটা নিয়ে এখনও পর্যন্ত পিকে নিজেও সম্ভবত নিশ্চিত নন। সেটাই বোঝা গেল তাঁর নিজের কথায়।
  • Link to this news (প্রতিদিন)