মরি নাই! নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে ৬ মাস ধরে ছুটছেন জলপাইগুড়ির মহিলা
প্রতিদিন | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: সরকারি জন্ম-মৃত্যু পোর্টালে তাঁকে মৃত বলে দেখানো হচ্ছে। মৃত তালিকা থেকে নাম কাটাতে এক অফিস থেকে অন্য অফিসে ছুটছেন গৃহবধূ। প্রমাণ করতে হরবে তিনি জীবিত। ছ’মাস ধরে ছোটাছুটির পরও মিলছে না সুরাহা। বাতিল হয়েছে রেশন থেকে আধার কার্ড। বঞ্চিত সকল সরকারি সুবিধা থেকে।
শম্পা রায়। জলপাইগুড়ির বানারহাটের সাকোয়াঝোরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানপাড়া এলাকার বাসিন্দা। প্রায় ৬ মাস আগে শম্পা জানতে পারেন তিনি ‘মৃত’। সরকারি বিভিন্ন জায়গা থেকে নাম বাদ গিয়েছে। মিলছে না লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পের সুবিধা। এই ঘটনায় চরম সমস্যায় ফেলেছে তাঁকে। নিজেকে জীবিত প্রমাণ করতে এঅফিস থেকে ওসফিস ছুটে বেড়াচ্ছেন গৃহবধূ। শম্পা রায় জানিয়েছেন, “ছয় মাস ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছি। পঞ্চায়েত অফিস থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন পর্যন্ত কোথায় য়ায়নি। কিন্তু কোনও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। এক অফিস থেকে আরেক অফিসে ছুটতে ছুটতে দিশেহারা হয়ে পড়ছি।” এই ঘটনায় লেগেছে রাজনৈতির রং। বানারহাটের বিজেপি নেতা কৌশিক নন্দী বলেন, “জীবিত মানুষকে মৃত দেখানো হচ্ছে। সরকার চলছে না, সার্কাস চলছে।” তৃণমূলের পালটা প্রশাসন বিষয়টি দেখছে।
তবে কেন এমন কাণ্ড ঘটলো? কী করে এতবড় ভুল তা নিয়ে ধোঁয়াশা। কোনও টেকনিক্যাল কারণে মৃতের তালিকায় শম্পাদেবীর নাম উঠে গিয়েছে বলে মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কী করে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তাও তারা খতিয়ে দেখছেন। দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশায় শম্পা।