সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূষণ রোধে কালীপুজো (Kali Puja 2025) এবং দিওয়ালিতে শব্দবাজি পোড়ানো রোখাই বড় চ্যালেঞ্জ কলকাতা পুলিশের। তা রুখতে ইতিমধ্যে নজরদারি বাড়ানো-সহ একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। এবার পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। নির্দিষ্ট সময়ের পর বাজি পোড়ালেই শাস্তি পাবে নিয়মভঙ্গকারী।
কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে,আগামী সোমবার কালীপুজো (Kali Puja 2025) ও দিওয়ালিতে রাত ৮টা থেকে ১০ টার মধ্যে বাজি পোড়াতে হবে। আগামী ২৮ অক্টোবর ছটপুজোয় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে। নির্দিষ্ট সময়সীমার পর বাজি ফাটালে পেতে হবে শাস্তি। সুপ্রিম কোর্ট, কলকাতা হাই কোর্ট এবং রাজ্যের দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশ মেনে প্রতিটি থানার অফিসার ইন চার্জকে পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফানুস ও নিষিদ্ধ বাজির দাপটে লাগাম টানতে দীপাবলির প্রাক্কালে সারা রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে পুলিশের চিরুনি তল্লাশি। লালবাজারের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মহানগরে ২৫৭২ কিলো নিষিদ্ধ শব্দবাজি ও বেআইনি আতসবাজি পুলিশ উদ্ধার করেছে। ২১টি মামলায় মোট চারজন গ্রেপ্তার। তারও আগে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত ৮টি মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ৪২৫ কিলো বাজি উদ্ধার হয়। এখনও পর্যন্ত ২৯টি মামলায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করে ২৯৯৬ কিলো নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বাজি বিক্রেতাদের হাতে সবুজ বাজি নির্মাতাদের তালিকা দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যে বাজি তৈরি করবেন, শুধু সেগুলোই ব্যবহার করা যেতে পারে। কোনও দোকানে যাতে লুকিয়ে বা খোলাখুলি ফানুস বিক্রি না হয়, তা নিশ্চিত করতেও পুলিশ তল্লাশি চালচ্ছে। ফানুস সম্পর্কে পুলিশ সতর্কতা ও সচেতনতার প্রচার শুরু করেছে বলে লালবাজারের দাবি। বৃহস্পতিবার টালা, ময়দান, বেহালা ও কালিকাপুরে শুরু হয়েছে বাজির বাজার। টালা বাজি বাজারের সাধারণ সম্পাদক শুভঙ্কর মান্না জানান, তাঁদের হাতে বাজি নির্মাতা ও বাজির তালিকা এসেছে। সেই অনুযায়ী বাজির বাজারে শুধু দূষণহীন সবুজ বাজি বিক্রি হচ্ছে।