• ভবানীপুরে ‘বহিরাগত’ নিয়ে কী বলেছিলেন? গিরিশ পার্কে কালীপুজো উদ্বোধনে গিয়ে ব্যাখ্যা করলেন মমতা
    আনন্দবাজার | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ভবানীপুরে ‘বহিরাগত’ নিয়ে তিনি যা বলতে চেয়েছেন, তার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। শুক্রবার গিরিশ পার্কে কালীপুজো উদ্বোধনে গিয়ে এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তা-ই নয়, ‘বহিরাগত’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছিলেন, তার ব্যাখ্যাও করেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘বহিরাগত’ বলতে তিনি একটি রাজনৈতিক দলের কথা বলেছেন। নির্বাচনের নামে বাইরে থেকে লোক আনার অভিযোগও তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

    ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রীর নিজের বিধানসভা কেন্দ্র। মঙ্গলবার সেই ভবানীপুরের তৃণমূল বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করেছিল ধনধান্য স্টেডিয়ামে। যদিও সেই অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি মমতা। উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দার্জিলিঙে ছিলেন তিনি। সেখান থেকেই মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ফোনে দলীয় নেতাকর্মীদের বার্তা দেন। সেই সময়ই তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘ভবানীপুরটা পুরো ‘আউটসাইডারদের’ (বহিরাগত) দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’

    ‘বহিরাগত’ নিয়ে তাঁর এই মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে বলে শুক্রবার দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘আমার কথা অন্য ভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি বহিরাগত বলতে এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের কথা বলিনি।’’ আনন্দবাজার ডট কম-এর তরফে এই মর্মে কোনও খবর করা হয়নি। মমতার সংযোজন, ‘‘বহিরাগত বলতে আমি একটা রাজনৈতিক দলকে বলেছি, যাঁরা বাইরের লোক নিয়ে এসে এখানে আমাদের ভোটারদের নামের পাশে নাম তোলেন। আমাদের এখানকার ভোটারেরা যাতে ভোট দিতে না-পারেন, সেই জন্য এমন করে তাঁরা।’’

    মমতার ব্যাখ্যা, ‘‘এখানে যাঁরা বাস করেন তাঁদের আমি ভালবাসি, সম্মান করি। ওদের অনুষ্ঠানে আমি যাই।’’ মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘ইলেকশনের নাম করে কিছু বহিরাগত চলে আসেন। এখানে হোটেল, গেস্ট হাউস ভাড়া করে থাকেন। আর যাঁদের টাকা আছে, তাঁরা ফ্ল্যাট কিনে নেন। ওরা সেখানকার বাসিন্দা নন।’’ মমতার প্রশ্ন, ‘‘একই লোকের নাম দু’জায়গায় কী ভাবে থাকতে পারে?’’

    মমতার দাবি, তিনি সে দিন দলীয় কাউন্সিলরদের উদ্দেশে বলেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি আমার কাউন্সিলরদের বকছিলাম। সেই অধিকার আমার আছে। আমি তাঁদের বলছিলাম, তোমরা কেন বস্তিগুলি তুলে বাংলার বাড়ি করছ না? বস্তিগুলিতে গরিব মানুষদের থাকাটা অপরাধ নয়। কিন্তু কেউ ওই জমি কিনে নিল, আর গরিব মানুষদের তাড়িয়ে দিল? এটা ঠিক নয়। গরিব মানুষদের যেন কেউ জোর করে কেউ সরিয়ে দিতে না পারে, কাউন্সিলরদের এটা দেখা উচিত।’’ মঙ্গলবারের বিজয়া সম্মিলনীতেও মুখ্যমন্ত্রী একই অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর দাবি ছিল, ‘‘আমি দেখছি অনেক এলাকায় গরিব মানুষের বস্তি ভেঙে দিয়ে বড় বাড়ি তৈরি হচ্ছে। আমি যেটা সাপোর্ট করি না। এ ভাবে ভোটারদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে তো আমরা বাংলার বাড়ি করে দিতে পারি। আমাদের কি অসুবিধা আছে?’’

    পুজোর আগে বৃষ্টির জলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে কলকাতা। অনেক বহুতলে জল ঢুকে পড়ে। সেই কথা তুলে ধরে মমতার অভিযোগ, অনেক জায়গায় নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নেই। সেই কারণে এই ঘটনা ঘটছে। সেগুলির দিকেও লক্ষ রাখা উচিত কাউন্সিরদের।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)