• নিবন্ধনের পর টোটো চালকেরা পাবেন ড্রাইভিং লাইসেন্সও, উদ্যোগী হচ্ছে পরিবহণ দফতর, জানিয়ে দিলেন মন্ত্রী স্নেহাশিস
    আনন্দবাজার | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • রাজ্যের সব প্রান্তে চলাচল করা টোটোগুলিকে সরকারি খাতায় নথিবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দফতর। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে টোটোর চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্সও দেওয়া হবে। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। সম্প্রতি টোটো নিবন্ধনের কাজ শুরু করেছে পরিবহণ দফতর। সেই কাজ মিটে গেলেই চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার কাজ শুরু হবে।

    ১৩ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া নিবন্ধনের কাজ শেষ হবে ৩০ নভেম্বর। রাজ্যে এই মূহূর্তে কত সংখ্যায় টোটো চলছে, তার প্রকৃত সংখ্যা জানতে পারবে পরিবহণ দফতর। তারপরেই বিচার-বিশ্লেষণ করে টোটো চালকদের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এত দিন টোটোর উপর পরিবহণ দফতরের কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না। যত্রতত্র টোটো চালানোর ফলে শহরতলির বিভিন্ন এলাকায় যানজট বাড়ছিল। টোটো নিবন্ধনের ফলে পরিবহণ দফতর বিষয়টিকে নিয়ে স্পষ্ট এবং সুষ্ঠু নীতি তৈরি করতে পারবে। তাই টোটো চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়াও আবশ্যিক হয়ে পড়েছে।’’

    পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘টোটোর নিবন্ধন হয়ে গেলে টোটো চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দিতে আমাদের খুব একটা অসুবিধা হবে না। কারণ, হাতে এক বার টোটোর প্রকৃত সংখ্যা পেয়ে গেলে লাইসেন্স দিতে জেলাভিত্তিক অফিসগুলি সক্রিয় হয়েই সেই কাজ করে দেবে।’’ পরিবহণ দফতরের একটি সূত্র জানাচ্ছে, টোটো নিবন্ধন এবং টোটো চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবহণ দফতরের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পাবে।

    প্রসঙ্গত, ই-রিক্সা ও টোটোর নিবন্ধনের সরকারি উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘‘৮ লক্ষ কোটি টাকা ঋণ করা রাজ্য সরকার টোটোগুলিকে নিবন্ধনের নামে টাকা তুলতে চায়। নিবন্ধনের জন্য ১০০০ টাকা ফি নির্ধারিত করা হয়েছে। এবং প্রত্যেক মাসে ১০০ টাকা করে, মানে বছরে ১২০০ টাকা। টাকার অঙ্কটা খুব ছোট নয়।’’ তাঁর আরও কটাক্ষ ছিল, ‘‘এখন রাজ্য সরকার মূলত মদ-নির্ভর। ২০ হাজার নতুন মদের দোকান দিয়েছে। সামনে নির্বাচন। নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে আবার কিছু দান-খয়রাতি করতে হবে। ১০০-২০০ টাকা ভাতা বাড়াতে হবে। খরচ আছে। তাই এই ধরনের একটা প্রক্রিয়া তারা চালু করেছে।’’ বিরোধী দলনেতার আক্রমণের জবাবে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিসের জবাব ছিল, ‘‘এত দিন রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে টোটো চালানোর ফলে যত্রতত্র যানজট হচ্ছিল। এমতাবস্থায় ই-রিক্সার সঙ্গেই টোটোর অস্থায়ী নথিভুক্তিকরণের বন্দোবস্ত করে তা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ নিবন্ধনের জন্য নেওয়া অর্থ আসলে কোষাগার ভরানোর কৌশল বলে যে অভিযোগ শুভেন্দু করেছেন, তার জবাবে স্নেহাশিস বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতর যে রাজস্ব পায়, তা পরিবহণ ব্যবস্থার কাজেই ফিরিয়ে দেওয়া হয়। তাই বিরোধী দলনেতা যে কথা বলছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)