স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আগের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার দশ নম্বর পাওয়ার দাবি করে অস্থায়ী শিক্ষকদের আবেদনের মামলায় কমিশনের থেকে বক্তব্যের হলফনামা তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র পুজো অবকাশকালীন বেঞ্চের নির্দেশ, আবেদনকারী অস্থায়ী শিক্ষকেরা যে স্কুলে শিক্ষকতা করতেন সেই সব জেলার শিক্ষা আধিকারিকদের (ডিস্ট্রিক্ট ইনস্পেক্টর অব স্কুলস) মামলায় যুক্ত করতে হবে। আবেদনকারীরা অভিজ্ঞতার জন্য প্রাপ্ত নম্বর পাওয়ার যোগ্য কি না সেই বিষয়ে হলফনামা দেবেন জেলা আধিকারিকেরা। আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, কমিশন ও জেলা আধিকারিকদের হলফনামার পরিপ্রেক্ষিতে নিজেদের উত্তর দেবেন আবেদনকারী অস্থায়ী শিক্ষকেরা। পুজোর ছুটির শেষে আদালত খোলার দশ দিন পরে মামলাটির পরের শুনানি হওয়ার কথা।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি স্কুলে দশ বছরের বেশি সময় ধরে অস্থায়ী ভাবে শিক্ষকতা করেছেন আবেদনকারীরা। কিন্তু এসএসসি-র নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার আবেদনপত্রে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর পাওয়ার কোনও বিকল্প ছিল না অস্থায়ী শিক্ষকদের জন্য। তাই মামলা করেছিলেন অন্তত ২৪ জনঅস্থায়ী শিক্ষক।
অস্থায়ী শিক্ষকদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত, বিক্রম বন্দোপাধ্যায় এবং শিঞ্জিনী চক্রবর্তীর দাবি, উপযুক্ত শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সেই বিকল্প বাছাই করার সুযোগ ছিল না অনলাইন আবেদনপত্রে। আইনজীবীদের আর্জি, কমিশনকেএই নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দিক আদালত।
এই প্রসঙ্গে কমিশনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন যে, অনুমোদিত প্রকৃত পদে নিযুক্ত করা হয়নি অস্থায়ী শিক্ষকদের। তাঁর দাবি, একমাত্র অনুমোদিত প্রকৃত শূন্য পদে স্থায়ী বা চুক্তিভিত্তিক ভাবে শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনে নিযুক্ত শিক্ষকেরা অভিজ্ঞতার জন্য নম্বর পাওয়ার যোগ্য।
আদালতের পর্যবেক্ষণ, মামলাকারী অস্থায়ী শিক্ষকদের অনুমোদিত প্রকৃত পদে নিয়োগ করা হয়েছিল কি না জানাতে হবে শিক্ষা দফতরকে।