• অপহরণের নালিশ, গ্রেফতার সিভিক
    আনন্দবাজার | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
  • ‘পুলিশ’ পরিচয় দিয়ে এক মুদির দোকানদারকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল আট জন। তবে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাসিন্দা লালচাঁদ মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তিকে অপহরণের অভিযোগে ওই থানারই এক সিভিক-সহ আট জনকে বৃহস্পতিবার ধরেছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছেন অপহৃত।

    ঘটনার সূত্রপাত বুধবার বিকেলে। লালচাঁদের মুদির দোকানের সামনে পর পর এসে দাঁড়ায় তিনটি গাড়ি। একটিতে ‘পুলিশ’ লেখা। নেমে আসে ওই সিভিক কর্মী হুমায়ুন কবীর-সহ আট জন। পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা লালচাঁদকে তুলে নিয়েঝড়ের গতিতে বেরিয়ে যায়। পরণে পুলিশের পোশাক ছিল না তাদের। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, চেহারা ও হাবভাবে বোঝা যায়নি, তারা পুলিশ নয়।

    সে কথা জানা যায়, লালচাঁদের পরিবার থানায় যাওয়ার পরে। সিসিটিভি ক্যামেরার ‘ফুটেজ’ ও অভিযুক্তদের ‘মোবাইল লোকেশন’-এর ভিত্তিতে পুলিশ বুঝতে পারে, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ সীমানায় কুশাবাড়িয়া ঘাট হয়ে কলকাতার দিকে যাচ্ছে তারা। খবর মেলে, ওই ঘাটে তারা গাড়িও বদল করেছে। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় নাকা-তল্লাশি দেখে তারা ডোমকলের দিকে ফিরতে থাকে। একাধিক পথ বদলেওরক্ষা অবশ্য মেলেনি। করিমপুর হয়ে ডোমকলে ঢোকার পরে ভোরে মোমিনপুর এলাকায় পুলিশ ধরে ফেলে তাদের।

    মুর্শিদাবাদ পুলিশ-জেলার সুপার কুমার সানি রাজ বলেন, ‘‘অপহরণের ঘটনা। পুলিশ তৎপর থাকায় অভিযুক্তেরা পালাতে পারেনি। ঘটনায় আট জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’

    প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জেনেছে, ছয় লক্ষ টাকা নিয়ে ওই সিভিক একটি জমি সংক্রান্ত গণ্ডগোল মিটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। আর সেই জমির একাংশের মালিক লালচাঁদ। তাই পুলিশ সেজে তাঁকে অপহরণের ছক কষা হয়। লালচাঁদের স্ত্রী শেফালি বিবি বলেন, ‘‘শ্বশুরমশাইয়ের দুই বিবাহ। জমি নিয়ে বিবাদ চলছিল। কিন্তু তা যে এ পর্যন্ত গড়াবে, ভাবিনি!’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)