ক্ষিপ্ত সমর্থকদের জন্য ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে শিল্ড জিততে চায় মোহনবাগান, কোচের আবেদন, ‘৯০ মিনিট সব ভুলে যান’
আনন্দবাজার | ১৭ অক্টোবর ২০২৫
আইএফএ শিল্ডে টানা দু’টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠে গিয়েছে মোহনবাগান। তবে সমর্থকদের দেখে তা বোঝার উপায় নেই। এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২-এর ম্যাচ খেলতে ইরানে না-যাওয়ার প্রতিবাদে তারা দু’টি ম্যাচেই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্যালারিতে। শনিবার ফাইনালেও বিক্ষোভ দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা। ফাইনালের এক দিন আগে কোচ হোসে মোলিনা আবেদন করলেন, অন্তত ৯০ মিনিট সব ভুলে তাঁদের সমর্থন করার জন্য।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে শুরুতেই উঠে আসে সমর্থকদের প্রতিবাদের প্রসঙ্গ। মোলিনা বলেন, “আমি ওঁদের যন্ত্রণা বুঝতে পারছি। আমিও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে চেয়েছিলাম। ক্লাব না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি নিজেও যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। আপাতত সময়ের পাতা উল্টে এগিয়ে যেতে চাই। মোহনবাগানকে পরের ম্যাচে জেতাতে চাই। সমর্থকদের আবার খুশি করতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “আমি জানি সমর্থকেরা রেগে আছেন। তবু বলব, আমরা এগিয়ে যেতে চাই, আরও ট্রফি জিততে চাই। ওঁদের বলব, আমরাও ব্যথিত। আমাদের মতো ওঁদেরও এগিয়ে যাওয়া দরকার। সমর্থকেরাই আমাদের জিততে সাহায্য করেন। গত মরসুমে ওঁদের সমর্থনই আমাদের লিগ জিতিয়েছে। এখন আরও বেশি সমর্থন দরকার। ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকেরা মাঠ ভরিয়ে দেবেন কাল। তবে আমাদের সমর্থন ১০০ শতাংশ থাকবে কি না নিশ্চিত নই। আমি চাই, দয়া করে ৯০ মিনিটের জন্য সব ভুলে যান। দলকে সমর্থক করুন। কলকাতা ডার্বি জিততে আমাদের সাহায্য করুন।”
ডুরান্ডে মোলিনার দল হেরেছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। তবে অতীতের কথা মনে রাখতে চাইছেন তিনি। বলেছেন, “আমার চোখ এখন শনিবারের ডার্বিতে। ডুরান্ড ডার্বিটা আমরা জিততেও পারতাম। হয়তো ভাল খেলতে পারিনি। আরও একটা সুযোগ এসেছে আমাদের কাছে। আমরাই যে ভাল দল, সেটা এ বার প্রমাণ করে দিতে চাই।”
চলতি মরসুমে আইএসএল শুরু হতে যে অনেকটাই দেরি হবে তা বোঝা গিয়েছে। বিষয়টি একেবারেই পছন্দ নয় মোলিনার। কম ম্যাচ খেলার জন্য নাম না করে ফেডারেশনকেই তোপ দেগেছেন তিনি। খেলোয়াড়দের ফিটনেস সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মোলিনা বলেছেন, “আমরা সে ভাবে ম্যাচই খেলতে পারছি না। এ ভাবে ফিটনেসের উন্নতি অসম্ভব। আমরা সকলেই অপেক্ষা করে আছি। অনুশীলন করেই চলেছি। জানি না মরসুম কবে পুরোদমে শুরু হবে।”
তিনি আরও বলেন, “দলের ফুটবলারেরা সব সময় জিপিএস পরে থাকে। কে কতটা দৌড়ল, পরিশ্রম করল সেটা বোঝা যায়। আমরা দুটো ম্যাচ খেলার পর দেখলাম, ম্যাচে যতটা না পরিশ্রম হয়েছে তার চেয়ে বেশি পরিশ্রম হয়েছে অনুশীলনে। কালকের ম্যাচটা কঠিন হবে। ডুরান্ডে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচের পর মাত্র তিনটে ম্যাচ খেলেছি। সেটা মোটেই যথেষ্ট নয়।”