মিল্টন সেন, হুগলি,১৭ অক্টোবর: দীপাবলির ঠিক আগেই ছড়ালো চিকুনগুনিয়া। চরম আতঙ্ক পোলবার জারুরায়। গত এক সপ্তাহে প্রায় ৩০ জনের শরীরে চিকনগুনিয়া উপসর্গ মেলার পরই নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। শুক্রবার জারুরা প্রাথমিক স্কুলে পোলবা গ্রামীন হাসপাতালের তরফে শিবির স্থাপন করে রক্ত সংগ্রহ করার কাজ চালায়। একইসঙ্গে সচেতনতার লক্ষ্যে শুরু হয়েছে বাড়ি বাড়ি প্রচার। চলছে মাইক প্রচার। প্রচার চালানো হচ্ছে পার্শ্ববর্তী গ্রাম গুলোতেও।
এদিন সেই বিশেষ স্বাস্থ্য শিবিরে পৌঁছান চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার, পোলবা ব্লকের বিডিও জগদীশ বাড়ুই, পোলবার বিএমওএইচ কৌশিক মন্ডল, সুগন্ধা পঞ্চায়েতের প্রধান সুব্রত ঘোষ প্রমুখ। শিবির থেকে এদিন সাধারণ গ্রামবাসীদের মধ্যে মশারি বিতরন করা হয়। বিধায়ক জানিয়েছেন, মূলত এডিস মশার কামরে চিকনগুনিয়া হয়। মশার কামর থেকে বাঁচতে সচেতন থাকতে হবে। পোলবা গ্রামীন হাসপাতালের বিএমওএইচ কৌশিক মন্ডল বলেছেন,গত ১০ তারিখে প্রথম জারুরা গ্রামে কয়েকজনের জ্বর গা ব্যাথার বিষয়টি নজরে আসে স্বাস্থ্য কর্মীদের। তাদের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গু পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তারপর চিকনগুনিয়া পরীক্ষা করে দেখা হয়। তাতেই ধরা পরে।
জ্বর গা হাত পায়ে ব্যাথা শরীর দূর্বল হয়ে যাওয়া এই রোগের উপসর্গ। ডেঙ্গুর মত মৃত্যুর হার না হলেও দু তিন মাস আক্রান্তের শারীরিক দূর্বলতা থাকে। একজন আক্রান্ত থেকে আরও অনেকের হতে পারে। তাই সংক্রমণ রুখতে মশারি ব্যবহার করা, জল জমতে না দেওয়া এলাকা পরিষ্কার রাখার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি।
চিকনগুনিয়া সংক্রমন থেকে মানুষকে সচেতন থাকতে হবে। প্রয়োজনে আবার শিবির হবে। চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা জানিয়েছেন, তাঁদের প্রথমে জ্বর হাত পায়ে ব্যাথা তারপর শরীর এতটাই দূর্বল হয়ে যায় বিছানা থেকে উঠে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। একবার চিকনগুনিয়া হলে তার রেশ থেকে যায় অনেক দিন। তাই, সকলকে সচেতন থাকতে হবে