• প্রাথমিকে টেট বাধ্যতামূলক, রায় বিবেচনায় সুপ্রিম কোর্টে শিক্ষকরা
    বর্তমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারিতে শিক্ষকতা করতে টেট (টিচার এলিজিবিলিটি টেস্ট) আবশ্যিক। সুপ্রিম কোর্টের এই সাম্প্রতিক রায়ের ফলে ২০১০ সালের আগে শিক্ষকতার চাকরি পাওয়া পশ্চিমবঙ্গের প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষক পড়েছেন ফাঁপড়ে। স্রেফ পশ্চিমবঙ্গই নয়। গোটা ঩দেশেই সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রভাব ফেলছে। তাই রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করলেন শিক্ষদের একাংশ। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূলপন্থী শিক্ষক নেতা তথা আসানসোলের নরসিংহ বাঁধ হরিজন এফ পি স্কুলের শিক্ষক অশোক রুদ্র সহ সিদ্ধার্থ রায়, কৃষ্ণেন্দু বিষয়ীর মতো ‘বিপদে’র মুখে পড়া শিক্ষকরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা ফাইল করেছেন। 

    টেট সংক্রান্ত আঞ্জুমান ঈশাত-ই-তালিম ট্রাস্টের এক মামলায় গত ১ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ রায়ে জানিয়ে দেয়, প্রাথমিকে শিক্ষকতা করতে গেলে টেট আবশ্যিক। তবে যাঁদের আর চাকরিতে অবসর নেওয়ার মাত্র পাঁচ বছর সময় বাকি, তাঁদের ছাড়। বাকিদের আগামী দু বছরের মধ্যে টেট পরীক্ষা দিয়ে ‘শর্ত’ পূরণ করতেই হবে। তবে অবসরের পাঁচ বছর বাকি থাকা শিক্ষকরা যদি পদোন্নতি চান, তাহলে তাঁদেরও টেট দিতে হবে। 

    শীর্ষ আদালতের এই রায়ে ২০১০ সালের আগে নিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষকরা পড়েছেন বিপদে। তাই সুপ্রিম কোর্টে মামলা ফাইলের পর অশোক রুদ্রর প্রশ্ন, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন ২০১০ সালের ২৩ আগস্টের পর প্রাথমিকে শিক্ষকতার চাকরি পেতে হলে টেট আবশ্যিক করেছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশকেই ২০১০ সালের আগে থেকেও (রেট্রোস্পেকটিভ) কার্যকর হবে রায় দিয়েছে। আগে থেকে কেন তা কার্যকর হবে? কোনও নতুন নিয়ম তো যেদিন থেকে নির্দেশিকা জারি হল, তার পর থেকেই হয়। তাই আমরা আদালতে মামলা করে রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছি।
  • Link to this news (বর্তমান)