মৃত্যুঞ্জয় কর্মকার, হবিবপুর:সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও দেখে পরীক্ষামূলকভাবে কালো ধান চাষ করে সফল এক কৃষক। উৎপাদিত ধানের গুণগতমান অত্যন্ত ভালো বলে দাবি করেছেন তিনি। এই প্রজাতির ধান চাষ করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার আশা দেখছেন এলাকার অন্য কৃষকেরাও। ঘটনাটি হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচণ্ডী গ্রাম পঞ্চায়েতের সোলাডাঙ্গা এলাকার। এই ধান থেকে উৎপাদিত চালের ভাত ব্লাড সুগারের রোগীদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী বলে দাবি কৃষকের। ব্লক কৃষি আধিকারিক বলেন, সম্ভবত এই ধানের নাম ব্ল্যাক রাইস। শীঘ্রই সরেজমিনে দেখা হবে।
ইউটিউবে কালো ধান চাষের বিষয়ে জানতে পারেন কৃষক রতন প্রামাণিক। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। জানতে পারেন কালো ধানের চালের ভাত খেলে সুগারের রোগীদের কোনও সমস্যা হয় না। এরপরেই এই চাষের প্রতি আগ্রহ জন্মায় তাঁর। অনলাইনে ধানের বীজ কিনে নিজের প্রায় এক বিঘা জমিতে বীজ রোপণ করেন রতন। নিয়ম করে পরিচর্যার পর যথেষ্ট ভালো ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু কৃষক তার কাছ থেকে বীজ কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
রতন বলেন, ৪০০ টাকা কেজি হিসেবে কালো ধানের বীজ অনলাইনে কিনেছিলাম। এরপর চাষের পদ্ধতি ইউটিউব ভিডিওতে দেখে জানুয়ারি মাসে বীজ রোপণ করেছিলাম। সম্প্রতি ধান ঝেড়ে তুলেছি। প্রায় এক বিঘা জমিতে ১২ মণ ধান ফলেছে। সাধারণ ধানের তুলনায় এর দাম প্রতি কুইন্টালে অনেকটা বেশি। অন্য কৃষকরা তাঁদের জমিতে রোপণের জন্য এই বীজ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।