• মদনমোহনের রুপোর কয়েন তৈরি করবে দেবোত্তর ট্রাস্ট
    বর্তমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় , কোচবিহার:

    বছর কয়েক আগেও কোনও ব্যক্তি কোচবিহারে বেড়াতে এলে এখানকার প্রাণের ঠাকুর মদনমোহনের ছবি দেওয়া পাঁচ ও দশ গ্রামের রুপোর কয়েন স্মারক হিসাবে নিয়ে যেতেন। অনেকে প্রিয়জনকে তা উপহার দিতেন। নিজের সংগ্রহে রেখে দেওয়ার জন্যও অনেকে তা কিনে নিতেন। কিন্তু সেই কয়েন শেষ হয়ে গিয়েছে। ফলে পর্যটকদের আর তা কেনার সুযোগ নেই। অথচ, চাহিদা রয়েছে। অনেকেই কোচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে এসে সেই রুপোর কয়েনের খোঁজ করেন। সেই চাহিদা ও মদনমোহনের মাহাত্ম্যকে আরও ছড়িয়ে দিয়ে ফের রুপোর কয়েন তৈরি করাবে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড। সেই প্রক্রিয়া চলছে। 

    আদালত থেকে নির্দিষ্ট অনুমতি পেলে ট্রেজারি থেকে রুপো নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতায়। সেখানেই নামী গয়না প্রস্তুতকারী সংস্থার সাহায্যে এই রুপোর কয়েন নির্মাণ করা হবে। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের অধীনে বেশকিছু রুপো ট্রেজারিতে জমা রয়েছে। সেই রুপোর বার থেকেই কয়েন তৈরি করা হবে। কিন্তু এর জন্য যে প্রক্রিয়া রয়েছে তা যথেষ্ট জটিল। সেই সমস্ত নিয়ম মেনেই আবারও মদনমোহনের মূর্তির ছাপ দেওয়া ও দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের নাম সম্বলিত রুপোর কয়েন তৈরি করা হবে। 

    কোচবিহারের মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রুপোর কয়েন বানানোর জন্য ডিস্ট্রিক্ট জজের কাছে পিটিশন ফাইল করতে হয়। অন্যান্য কর্মব্যস্ততার জন্য সেটি এখনও হয়নি। বিগ্রহের নামে কোনও সম্পত্তি থাকলে সেটি ভাঙা গড়ার কাজ করতে গেলে ডিস্ট্রিক্ট জজকে চিঠি করতে হয়। সেটা করা হয়েছিল। পাবলিক প্রসিকিউটরের সঙ্গেও কথা হয়েছে। অনুমতি পেলেই এই কাজটি হবে। নির্মাণকারী সংস্থার সঙ্গেও কথা হয়েছে। তাঁরাও এই কয়েন বানাতে রাজি হয়েছেন। ট্রেজারিতে রুপো রয়েছে। সেই রুপো সিল অবস্থায় কলকাতায় যাবে। কতটা রুপো যাবে তা এখনও ঠিক হয়নি।

    কলকাতায় রুপো গেলে সেখানে এর পরিমাপ ও গুণগতমান পরীক্ষা করে শংসাপত্র দেওয়া হবে। সেই কাগজ পাওয়ার পরেই নির্দিষ্ট সংস্থার অধীনে ভালো কারিগর দিয়ে এই রুপোর কয়েন বানানো হবে। এবারও পাঁচ ও দশ গ্রামের রুপোর কয়েনই বানানো হবে। প্রক্রিয়াটি একটু জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি বলে কিছুটা সময় লাগলেও আগামীদিনে ভক্ত, পুণ্যার্থী থেকে শুরু করে পর্যটক বা সাধারণ মানুষ যাতে এই রুপোর কয়েন সংগ্রহ করতে পারেন তার জন্য প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড ও প্রশাসন। • নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)