চার বোনের পুজো শেষে মধ্যরাতে শুরু হয় শতাব্দীপ্রাচীন কালীমাতা ঠাকুরানির আরাধনা। মন্দিরে আসার পথে দুই বোনের থানের সামনে হয় বলি। বর্তমানে ইটাহারের জয়কালীবাড়ি পাড়ায় ঐতিহ্যবাহী এই পুজো হয়। এখন জোরকদমে চলছে দেবীর প্রতিমা, মণ্ডপ ও মন্দির সৌন্দর্যায়নের কাজ। পরিবেশ সচেতনতার কথা মাথায় রেখে কাঁচা ফুলের মালাতেই সাজিয়ে তোলা হয় দেবীর প্রতিমা।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চূড়ামণের রায়চৌধুরী জমিদার বংশ এই পুজো শুরু করেন। জমিদারি না থাকলেও এখনও এই পুজো হয়ে আসছে।
বর্তমানে ইটাহারের দাসপাড়া, শীলপাড়া ও রাজবংশী পাড়ার বাসিন্দারা এই পুজো করছেন। পুজোতে নেওয়া হয় না কোনও চাঁদা। পুরনো রীতি মেনে প্রথমে ঝুমুর কালী, তারপর আনন্দকালী, পরে দক্ষিণাকালী ও ভদ্রকালীর পুজো হয়। সবশেষে মধ্যরাতে হয় ছোট বোন জয়কালী মাতার পুজো।
তবে জয়কালী প্রতিমাকে মন্দিরে নিয়ে আসার পথে অন্য দুই বোন বুড়ি কালী ও মাশান কালীর থানের সামনে মাকে বরণ করা হয়। হাজারো ভক্তের সমাগমে মধ্যরাতে মন্দির প্রাঙ্গণে আনা হয় জয়কালীকে। এবিষয়ে মৃৎশিল্পী বিমান সরকার বলেন, আমরা তিনটি পাড়ার বাসিন্দারা নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজোর আয়োজন করি। মায়ের সাজে আমরা প্লাস্টিকের ফুল ব্যবহার করি না।
এই পুজোতে প্রসাদী ডালা পড়ে প্রায় ৩ হাজার। পাঁঠা বলি হয় দুই হাজারের অধিক। ভক্তরা প্রচুর সোনাদানা দেবীকে উত্সর্গ করেন।
গভীর রাতে পুজো সম্পন্ন হলেও পরের দিন সূর্যাস্তের পর মন্দির লাগোয়া পুকুরে নিরঞ্জন হয়। পুজো উপলক্ষ্যে বসে একদিনের মেলা। পুজো কমিটির সম্পাদক সৈকত দাস জানান, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার হাজার হাজার মানুষ এই পুজোতে আসেন। নিজস্ব চিত্র।