কালীপুজো উপলক্ষ্যে জোরকদমে চলছে প্লাস্টিকের জবা ফুল তৈরির কাজ। রায়গঞ্জের কুলিক নদীর দুই ধারে কাঞ্চনপল্লী এবং সুভাষগঞ্জ এলাকার মহিলারা সংসার সামলে এই মালা তৈরির কাজ করে চলেছেন। কালীপুজোর আগে কিছু লক্ষ্মীলাভের আশায় এই কাজ তাঁরা বছরের পর বছর ধরে করেন। তবে, মালা গেঁথে খুব একটা লাভ হয় না বলে জানান মালাকার শিল্পীরা।
কারিগর বীণা পালের কথায়,এক ডজন বড় মালা গাঁথলে ৪০ টাকা দেওয়া হয়। সেটা খুবই সামান্য। তবে, বেকার বসে না থেকে সাংসার সামলে এই মালা গাঁথার কাজ করি। পাইকাররা টাকা বাড়ালে ভালো হয়। কালীপুজো পর্যন্তই চলবে এই লাল জবা তৈরির কাজ।
দুর্গাপুজোর পর থেকে শুরু হয় মালা বানানোর কাজ। একশোর বেশি বাড়িতে তৈরি হয় এই মালা। কারিগররা বলেন, চার ফুটের বড় মালা তৈরি করতে ছ’শো কাগজ লাগে। এক একটি বড় মালা তৈরি করতে প্রায় আধ ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এছাড়া প্লাস্টিকের জবা ফুল দিয়ে ছোট ছোট মালা তৈরি হয়ে যায় পাঁচ মিনিটে। পাইকারের বাড়ি থেকে সমস্ত সামগ্রী এনে মালা বানিয়ে দিয়ে আসতে হয়।
অর্চনা পাল বললেন, কয়েক বছর এই ফুল তৈরির কাজ করছি। সারা বছর সেভাবে কাজ না থাকলেও কালীপুজো এলেই আমাদের ব্যস্ততা বাড়ে। সবমিলিয়ে ১৫ দিন ধরে চলে এই ফুল তৈরি।
একটা সময় রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ ও ইটাহারের বেশকিছু এলাকায় চাষ হতো জবা ফুলের। কিন্তু গাঁদা ফুলের চাহিদা বেড়ে যাওয়া এবং লাভ বেশি হওয়ায় জবার চাষ অনেকটাই কমে গিয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাই কালীপুজোয় চাহিদা মেটাতে প্লাস্টিকের জবাফুল তৈরি করছেন কারিগররা। সেই মালা পাইকারের হাত ধরে চলে যাচ্ছে উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় পাশাপাশি মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুরে।