গয়নার সোনার দর (প্রতি ১০ গ্রাম) প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ছুঁইছুঁই। রুপোর দর প্রতি ১০০ গ্রামে ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার টাকা। তাই সব শ্রেণির মানুষের কথা মাথায় রেখে কম সোনা দিয়ে অলঙ্কার তৈরি করে বাজার ধরছেন বিক্রেতারা। প্রতি ১০ গ্রাম সোনার দাম যখন লক্ষ টাকার নীচে ছিল, কেনার আগ্রহ তুঙ্গে ছিল মধ্যবিত্ত বাঙালির। দাম বাড়লেও সেই ছবির খুব একটা বদল হয়নি।
বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির জেলা সম্পাদক উজ্জ্বল সরকার বলেন, সোনার প্রতি মানুষের স্বাভাবিক আকর্ষণ রয়েছে। কিন্তু ক্রয় ক্ষমতা অপরিসীম নয়। তাই সোনার দাম প্রতি ১০ গ্রামে প্রায় সোয়া লক্ষ টাকায় পৌঁছে যাওয়ায় অনেকের সাধ্যে কুলোচ্ছে না। তাই আমাদের বিকল্প রাস্তা ভাবতে হচ্ছে।
উজ্জ্বলবাবু জানান,আগে যে গয়না আমরা চার থেকে পাঁচ গ্রাম সোনা দিয়ে তৈরি করতাম, এখন সেটাই এক থেকে দুই গ্রামের মধ্যে বানানো হচ্ছে। লক্ষ্য একটাই, মানুষ যেন ধনতেরাসে সামান্য হলেও সোনা কিনতে পারেন।
একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কর্মী সুজাতা রায় বলেন, ধনতেরাসে সোনা কেনা প্রায় অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সারা বছর উপার্জনের কিছুটা সঞ্চয় করি। তার একটা অংশ দিয়ে প্রতি বছর সোনার গয়না কিনি ধনতেরাসে। কিন্তু এবার যা পরিস্থিতি, বরাদ্দ টাকায় খুব কম ওজনের সোনা কিনতে হবে। তবে সোনা কিনবই।
এদিকে সোনার দর বৃদ্ধিতে অনেকে আবার লাইন দিচ্ছেন কাঁসা, পিতলের দোকানে। প্রাথমিক শিক্ষিকা সুদীপ্তা ঘোষ বলেন, কাঁসা, পিতলের বাসন দিয়েই ধনতেরাসে ধাতু কেনার নিয়মরক্ষা করার পরিকল্পনা করেছি। তবে, তার সঙ্গে কিছুটা রুপো কেনার ইচ্ছাও রয়েছে।