• দৃষ্টিহীন ও বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের হাতেই তৈরি হচ্ছে দীপাবলির মোমবাতি
    বর্তমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাঁথি: সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি। অন্যান্য বছরের মতো এবারও নানান ডিজাইনের মোমবাতি তৈরি করছে কাঁথির ফরিদপুরের জনশিক্ষা প্রসার দপ্তর পরিচালিত দৃষ্টিহীন ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের আবাসিক পড়ুয়ারা। তাদের হাতে তৈরি ‘বিবেকদ্যুতি’ ব্র্যান্ডের মোমবাতির আলোর রোশনাইয়ে উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে চারদিক। বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ছাত্রছাত্রীরা মোমবাতি তৈরির কাজ শুরু করেছে। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ চোখে ঠিকমতো দেখতে পায় না। কারও কথা জড়িয়ে যায়। কারও অন্যান্য মানসিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কিন্তু তাদের উৎসাহে কোনও খামতি নেই। নিপুণ হাতেই খাপের ভিতরে গলানো মোম ঢালা, সুতো বসানো থেকে শুরু করে যাবতীয় কাজ করে চলেছে তারা। এভাবেই কয়েক হাজার মোমবাতি  তৈরি করেছে পড়ুয়া সোমা মণ্ডল, সঙ্গীতা মণ্ডল, সায়নী বেরা, অমিতাভ চন্দরা। অর্ডার অনুযায়ী মোমবাতি বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহও শুরু হয়ে গিয়েছে। রয়েছে বড় আকারের মোমবাতির নাম ‘লোডশেডিং’। রংবেরংয়ের ছোট মোমবাতির নাম ‘দীপাবলি’, রয়েছে ‘বার্থ ডে’ মোমবাতিও। বৃহস্পতিবার স্কুলে গিয়ে দেখা গেল, প্রশিক্ষক অনিরুদ্ধ প্রধান, রাজীব দাসের তত্ত্বাবধানে মোমবাতি তৈরি করছে ছাত্রছাত্রীরা। তাদের শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা তুঙ্গে। বিদ্যালয়ে ৫০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। তার মধ্যে মূলত ১২-১৩জন মোমবাতি তৈরির কাজে যুক্ত থাকে। পড়াশোনার ফাঁকে অবসর সময়েই তারা মোমবাতি তৈরি করে। অনেক সক্ষম মানুষের মাঝে নিজেদের অস্তিত্বকে আলাদা করে চিনিয়ে দিতে পড়াশোনার পাশাপাশি কিছু করে স্বাবলম্বী হতে চায় সকলে। শিক্ষকরাও সবসময় তাদের পাশে থাকেন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতমকুমার শাসমল বলেন, দৃষ্টিহীন ও প্রতিবন্ধী হলেও ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ কিন্তু যথেষ্ট। বছরের অন্যান্য সময়ে ধূপবাতি, রাখি তৈরির কাজে যুক্ত থাকে ছাত্রছাত্রীরা। এই সময়টা তারা মোমবাতি তৈরি করে। মোমবাতি কিংবা অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি থেকে যা আয় হয়, তার একটি বড় অংশ পারিশ্রমিক হিসেবে তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই জমা করে দেওয়া হয়। • নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)