• লাগাতার পুলিশি অভিযান, ৪ জেলায় বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ বাজি
    বর্তমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ও সংবাদদাতা: কালীপুজো ও দীপাবলির আগে রাজ্যজুড়ে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি রুখতে চলছে ধরপাকড়। কলকাতা, হরিণঘাটা, বারুইপুর, বজবজ, বারাকপুর—সর্বত্রই এক ছবি। 

    ঢালাই ব্রিজ ও গড়িয়া মোড় এলাকায় নিয়মিত চেকিং চালাচ্ছে পুলিশ। শুক্রবার পর্যন্ত ১৩১৫ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পাটুলি থানা। পাশাপাশি, তল্লাশি চালিয়ে ৩৬ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে বাঁশদ্রোণী থানা। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে এদিন দুপুরে হাড়ালে অভিযান চালায় বারুইপুর থানা। পুলিশ জানিয়েছে, প্রায় ২০০ কেজি বাজি উদ্ধার হয়েছে। কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। সব মিলিয়ে গত এক সপ্তাহে হাড়ালে প্রায় দু’হাজার কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। অভিযান চলবে। পুজোর মুখে নিষিদ্ধ বাজি তৈরি আটকাতে ও দুর্ঘটনা রোধে মহেশতলা ও বজবজজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে ডায়মন্ডহারবার পুলিশ। কালীপুজো পর্যন্ত তা চলবে বলে শুক্রবার জানান ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলার সুপার বিশপ সরকার এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন দে। শুক্রবার পর্যন্ত হাজার কেজি নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এছাড়াও মহেশতলা ও বজবজে প্রচুর দাবিহীন বাজি নষ্ট করেছে প্রশাসন। বেআইনি বাজি তৈরির জন্য ২৩টি মামলা রুজু হয়েছে। নিষিদ্ধ বাজি তৈরি ও বিক্রি বন্ধে লাগাতার প্রচারও চলছে। 

    উত্তর শহরতলির বিভিন্ন এলাকাতেও অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ঘোলা থানা এলাকার পল্লিশ্রী বাজার থেকে ২০ কেজি চকোলেট বোমা ও নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে। দক্ষিণেশ্বর থানা ২০ কেজি, বেলঘরিয়া থানা ১৩ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি উদ্ধার করেছে। খড়দহ, দমদম, নিমতা, নিউ বারাকপুর ও রহড়াতেও উদ্ধার নিষিদ্ধ শব্দবাজি। বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কালীপুজো পর্যন্ত অবৈধ শব্দবাজির বিরুদ্ধে টহলদারি চলবে। পাশাপাশি, ধনতেরাসের সময় ডাকাতি, ছিনতাইয়ের ঘটনা রুখতেও নজরদারি চলছে। শুক্রবার নিউ ব্যারাকপুরে গয়নার দোকানের সামনের এলাকা পরিদর্শন করেন পুলিশ কমিশনার মুরলিধর শর্মা সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা। 

    অন্যদিকে হরিণঘাটা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ৯৫ কেজি আতশবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। একজন গ্রেফতার। ধৃতের নাম অমিত শীল। তিনি লাউপোলার সুবর্ণপুর এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, ধৃত লাইসেন্স ছাড়াই আতশবাজি মজুত করেছিলেন। বিক্রিও করছিলেন।
  • Link to this news (বর্তমান)