মদের ব্যবসার অংশীদারিত্ব পাইয়ে দেওয়ার নামে ১৩ কোটির প্রতারণা, ধৃত ব্যাঙ্ককর্তা সহ ২
বর্তমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মদের ব্যবসার অংশীদারিত্ব পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ বিনিয়োগের টোপ দেওয়া হয়েছিল এক ব্যবসায়ীকে। এর জন্য তাঁকে মোটা অঙ্কের লভ্যাংশ দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে প্রায় ১৩ কোটি টাকা লগ্নি করেছিলেন অভিযোগকারী। পরে প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার অভিযুক্ত এক ব্যাঙ্ককর্তা ও এক দালালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার ধৃতদের ব্যাঙ্কশালের মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁদের ২০ অক্টোবর পর্যন্ত পুলিশ হেপাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগকারীর কৌঁসুলি ফজলে আহমেদ খান বলেন, ‘বিপুল টাকা লগ্নি করার পরেও আমার মক্কেলকে মদের ব্যবসার অংশীদার তো দূরের কথা, তাঁকে কোনও লভ্যাংশ দেওয়া হয়নি। আসল টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে হয়রানি করা হয়। পরে অভিযুক্ত দালাল আমার মক্কেলকে চেক দেন। সেগুলিও বাউন্স করে।’
জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে মধ্য কলকাতার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ী নিউ মার্কেট থানায় প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে এবং ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে মামলার তদন্তভার গ্রহণ করে কলকাতা গোয়েন্দা পুলিশ। কিন্তু নানা আইনি গেরোর জটে মামলার গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। আইনি জট কাটতেই পুলিশ অভিযুক্ত ব্যাঙ্ককর্তা সহ ওই দালালকে পাকড়াও করে। শুনানি চলাকালীন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, ‘আমাদের মক্কেলের বিরুদ্ধে পুলিশ যেসব অভিযোগ এনেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ সরকারি আইনজীবী আপত্তি জানিয়ে বলেন, ‘এই প্রতারণা মামলায় জামিন পেলে তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’ বিচারক মামলার কেস‑ডায়েরি খতিয়ে দেখে ধৃতদের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন।