• ‘দুদণ্ড শান্তি’র খোঁজে… কালীপুজোয় ‘স্বপ্নের দেশ’ বারাকপুরের এই পুজো মণ্ডপ
    প্রতিদিন | ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: ‘আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারি দিকে জীবনের সমুদ্র সফেন/ আমারে দুদণ্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটোরের বনলতা সেন।’ জীবনানন্দের মতো এই শান্তির খোঁজ তো আমাদের অন্তরের প্রত্যেক ‘আমি’র। আলোর উৎসবে সেই অন্বেষণের কথাই এবার উঠে আসছে বারাকপুরের এক পুজো মণ্ডপে। দীপাবলিতে এবার উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে ‘স্বপ্নের দেশ’। দৈনন্দিন ব্যস্ততা, কাজের চাপের মধ্যে দর্শনার্থীদের একটু মানসিক শান্তি দিতে এই থিম বেছে নিয়েছেন বারাকপুর মণিরামপুরের বটতলা স্পোর্টিং ক্লাবের উদ্যোক্তারা। সঙ্গে থাকছে থিমের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে চন্দননগরের আলোকসজ্জা।

    নদিয়ার শিল্পী তাপস বিশ্বাসের ভাবনায় তৈরি হয়েছে বটতলা স্পোর্টিং ক্লাবের এই মণ্ডপ। বাইরে থেকে দেখলে মনে হবে, একেবারে অমরাবতী, স্বর্গের উদ্যান! দর্শনার্থীদের সেখানে স্বাগত জানাতে থাকবে দু’পাশে বিশালাকার ময়ূরের মডেল। বাগানের ভিতর প্রবেশ করলেই দেখা যাবে জলাশয়, তাতে ফুটে রয়েছে সহস্র পদ্ম। মণ্ডপ জুড়ে থাকবে বিভিন্ন কাল্পনিক ফুল, রঙিন গাছ, হরিণ-সহ বনের শোভা বৃদ্ধি করবে বিভিন্ন পশুর নিখুঁত কারুকার্য।

    গোটা পরিবেশ এমনভাবে তৈরি হচ্ছে যা দেখে কখনওই মনে হবে না কোনও এক আবদ্ধ জায়গায় রয়েছেন দর্শনার্থীরা। এর জন্য সিলিং তৈরি হচ্ছে শরতের ঝলমলে আকাশের আদলে। সঙ্গে থাকছে আলোর খেলা। সব মিলিয়ে মনে হবে অমরাবতীর পথ ধরে যেন সোজা স্বর্গলোকে প্রবেশ করেছে। যেখানে কোনও চিন্তা নেই, হিংসা নেই, ভাবনা নেই, শুধুই শান্তি! তবে, ঐতিহ্য মেনে প্রতিবারের মত এবারও এই মণ্ডপে শ্যামা মা থাকছে সাবেকি সাজে। পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা তপোব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মানুষের সাংসারিক চিন্তা, দৈনন্দিন কাজের চাপ থেকে মুক্তি দিতেই আমাদের এই থিমের ভাবনা। আশা করি, মণ্ডপ ঘুরে দর্শনার্থীরা মানসিক শান্তি পাবেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)