প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আগে কুমোরটুলি হয়ে ওঠে ‘মোস্ট হ্যাপেনিং প্লেস’। ছবি শিকারির দল ভিড় করে শিল্পীদের স্টুডিওগুলিতে। কীভাবে গড়ে উঠেছিল কুমোরটুলি? ১৭৫৭ সালে শোভাবাজারের রাজা নবকৃষ্ণ দেব দুর্গাপুজো করেছিলেন। আমন্ত্রিত ছিলেন লর্ড ক্লাইভ থেকে শুরু করে ইংরেজ রাজপুরুষরা। তখনই তিনি কৃষ্ণনগর থেকে একদল মৃৎশিল্পীকে নিয়ে এসে কুমোরটুলিতে বসান। তারপর বংশপরম্পরায় তাঁরাই সেখানে মূর্তি গড়তে শুরু করেন। বাংলায় বাঘ দেখা গেলেও সিংহ অমিল। তাহলে দুর্গার বাহন সিংহের চেহারা শিল্পীর কল্পনায় এল কী করে? লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে, প্রাচীন পারিবারিক পুজোগুলির বেশিরভাগেরই সিংহ অনেকটা ঘোড়ার মতো দেখতে। কারণ শিল্পীরা তখনও সত্যি সিংহ দেখেননি। আঠারো শতকের শেষে কুইন ভিক্টোরিয়া ভারতেরও ‘রানি’ হওয়ার পর লর্ড ওয়েলেসলি রাজভবনের গেটে বসান কেশর দোলানো সিংহের মূর্তি। পরবর্তীতে সিংহের সেই রূপ দেখা গেল দুর্গার বাহন হিসেবে। এমনই নানা তথ্য পাওয়া যাবে সমীর সোমুর তথ্যচিত্র ‘কুমোরটুলির গল্প’-এ। ছবিটি প্রযোজক মিত্রানী বিশ্বাস। গবেষণা করেছেন ডঃ রত্না গুপ্ত ও ডঃ বিপ্লব নন্দী।