• লাইসেন্স দিতে গড়িমসি, ক্ষতির মুখে বাজি উৎপাদক ও কারবারিরা
    বর্তমান | ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বজবজ: বিহার, উত্তরপ্রদেশ, অসম সহ একাধিক রাজ্যে পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশবান্ধব আতশবাজির চাহিদা রয়েছে। কিন্তু প্রশাসনিক স্তরে সমন্বয় না থাকার কারণে সেই চাহিদা পূরণ করতে পারছে না আতশবাজি উৎপাদনের সঙ্গে যুক্তরা। ফলে পুজোর মরশুমেও আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের। রাজ্য প্রদেশ আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক শুকদেব নস্কর বলেন, এর বড়ো কারণ বাজি তৈরির লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারে দীর্ঘসূত্রিতা। শুকদেববাবু বলেন, গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে সব মিলিয়ে ২৩৫ জন বাজি তৈরির লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। জেলা প্রশাসন ওই আবেদন যাচাই করে উৎপাদনের লাইসেন্স দিয়ে থাকে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৪০ জনকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। বাকি ১৯৫ জন পাননি। প্রসঙ্গত, ওই ২৩৫ জন কেন্দ্রীয় সরকারের নিরি থেকে বাজি তৈরির প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। তার শংসাপত্র সহ অনেকদিন আগে আবেদন করেছিলেন। এব্যাপারে সক্রিয় হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই বজবজ ও মহেশতলা মিলিয়ে ২০ জনকে লাইসেন্স দিয়েছে। সংগঠনের দাবি, ১৯৫ জনকে লাইসেন্স দেওয়া হলে ভিনরাজ্যের বাজি বাজার ধরা যেত। শুকদেববাবুর আরও অভিযোগ, স্থায়ী সেলিং লাইসেন্স দেওয়ার ব্যাপারেও টালবাহানা চলছে। ফলে বাজি কিনে তা বিক্রি করতে পারছে না এই পেশার সঙ্গে যুক্তরা। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে দক্ষিণ ভারতের শিবকাশীর কয়েকজন আর্থিক সঙ্গতিসম্পন্ন এজেন্ট । গোটা কলকাতা শহর ও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় শিবকাশীর বাজি ছড়িয়ে দিয়েছে। তাতে ক্ষতি হচ্ছে এই রাজ্যের পরিবেশবান্ধব বাজি তৈরির উৎপাদক এবং বিক্রেতাদের।
  • Link to this news (বর্তমান)