• ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট মৃত্যুর কারণ...তমলুকের মহিলা চিকিৎসকের 'রহস্যমৃত্যু'তে বড় আপডেট!
    ২৪ ঘন্টা | ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • কিরণ মান্না: তমলুকের মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুতে বড় আপডেট। মৃত চিকিৎসকের প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে। আর তাতেই সামনে এসেছে মৃত্যুর সম্ভাব্য আসল কারণ। আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে শালিনী দাস নামে ওই মহিলা চিকিৎসকের। প্রাথমিকভাবে এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে করা হবে ভিসেরা পরীক্ষাও।

    তমলুকে মৃত চিকিৎসক শালিনী দাসের পোস্টমর্টেম ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন, পোস্টমর্টেমে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন শালিনী দাস। হাইপারটেনশনের ওষুধ চলছিল বলেও প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। তবে হাতের চ্যানেলে পুশ করা ওষুধের জেরেই মৃত্যু কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই জন্যই করা হবে ভিসেরা পরীক্ষা। ইতিমধ্যেই স্যাম্পেল স্টেট ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

    আদতে কলকাতার দমদমের বাসিন্দা শালিনী দাস কাঁথি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। কাঁথি সাব ডিভিশন হাসপাতালে কর্মরত আনাস্থেসিস্ট ছিলেন তিনি। গতকাল সকাল ১১টায় নিজের ভাড়াবাড়িতে 'রহস্যমৃত্যু' ঘটে দমদমের তরুণী চিকিৎসক শালিনী দাসের। তাঁর 'রহস্যমৃত্যু'তে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তদন্তে নামে তমলুক থানার পুলিস। জানা যায়, শালিনী সকাল থেকেই অসুস্থ ছিলেন। যে বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসার কাজে গিয়েছিলেন, সেখানেই চ্যানেল করিয়ে ওষুধ নিয়েছিলেন তিনি।

    প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গতকাল সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান চিকিৎসক শালিনী দাস। যখন বাড়ি ফেরেন তখন সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন। বাড়ি ফেরার কিছু সময় পরই তাঁর মায়ের 'বাঁচাও' চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরা। চিৎকার শুনে ছুটে গিয়ে তাঁরা দেখেন, হাতে থাকা চ্যানেল থেকে রক্তপাত হচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে ভাড়াবাড়ির পাশেই একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। অক্সিজেন সাপোর্টও দেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে তমলুক মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। তমলুক মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    এদিন দমদমের বাড়িতে মৃত চিকিৎসকের বাবা জানান, চিকিৎসায় গাফিলতি হয়ে থাকতে পারে বলে তাঁদের সন্দেহ। চ্যানেল কে লাগিয়েছিল, তাই নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি। ভিসেরা রিপোর্ট এলেই সবটা স্পষ্ট হবে, গোটা বিষয়টি জানা যাবে বলে মনে করেন মৃত চিকিৎসকের মামা।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)