পার্থ চৌধুরী: ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে নেমে গেল চারচাকা গাড়ি। স্বামী প্রাণে বাঁচলেও মৃত্যু হল স্ত্রীর। ঘটনায় রহস্যের দানা বাঁধছে। এদিকে মৃতার পরিবারের অভিযোগ, দুর্ঘটনা নয় এটা খুন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রাতে, পূর্ব বর্ধমানের মেমারি গন্তার-১ অঞ্চলের ঘোষ গ্রামে।
কালনা রোডের ধারে শুক্রবার রাতে পুকুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি চারচাকা গাড়ি পড়ে যায়। ঘটনায় স্বামী মুকুল সেখ ওরফে মফিজুল সেখ পুকুর থেকে জীবিত উদ্ধার হলেও প্রথমে স্ত্রীকে পাওয়া যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁর স্ত্রী আসমাতারা খাতুন (৩৫)-কে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্ত্যবরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার বাড়ি তাহেরপুরে এবং শ্বশুরবাড়ি হাটবাকশায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বর্ধমান থেকে ডাক্তার দেখিয়ে হাটবাকশা গ্রামের বাড়ি ফেরার পথে দম্পতি গাড়িতে ছিলেন। ঘোষ গ্রামে পৌঁছানোর পর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি পুকুরে পড়ে যায়। স্বামী পুকুর থেকে উঠে বেঁচে গেলেও আসমাতারা খাতুনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
কিন্তু, ঘটনার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃতার পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের অভিযোগ, মুকুল শেখের পরকীয়া সম্পর্কে আসমাতারা জানতে পারায় পরিকল্পিতভাবে খুনের উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে মেমারি থানার পুলিস মফিজুল সেখ নামে একজনকে আটক করেছে। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আসমাতারা খাতুনের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। মেমারি থানার পুলিস এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই মৃতের পরিবারের লিখিত অভিযোগে মৃতার স্বামী শেখ মফিজুল ওরফে মুকুলকে গ্রেফতার করেছে মেমারি থানার পুলিস।