সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিক্ষাঙ্গনে লাঞ্ছিত শিক্ষক। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ডঃ ভীম রাও আম্বেদকর কলেজের একজন অধ্যাপককে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের (ডিইউএসইউ) যুগ্ম সম্পাদক এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) সদস্যরা চড় মেরেছে এবং লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ। নির্যাতিত ওই অধ্যাপকের নাম সুজিত কুমার। এই ঘটনার জেরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এই ঘটনা বৃহস্পতিবারের। পুলিশের উপস্থিতিতেই ক্যাম্পাসেই চলে এই লাঞ্ছনা। যার ভিডিও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ওই ফুটেজে দেখা গিয়েছে, যুগ্ম সম্পাদক দীপিকা ঝা এবং একদল ছাত্র কলেজ প্রাঙ্গণের ভেতরে অধ্যাপককে মারধর করছে। আর পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছে। যদিও ভিডিওর সত্যতা ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’ যাচাই করতে পারেনি। এই ঘটনায় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তাঁরা এই ঘটনা শিক্ষকদের মর্যাদার উপর আক্রমণ বলে নিন্দা করে। বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টি নিয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনের কথা ঘোষণা করেছে।
কলেজের শৃঙ্খলা কমিটির আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন নির্যাতিত অধ্যাপক সুজিত কুমার। তিনি জানান, নবীন বরণ অনুষ্ঠানের সময় দু’দল ছাত্রের মধ্যে ক্যাম্পাসে ঝামেলার তদন্ত করছিলেন। তখনই তাঁকে আক্রমণ করা হয়। রাকেশ যাদব নামে একজন শিক্ষক এবিভিপি-র ছাত্রদের পক্ষ নিয়ে ইন্ধন দেন বলে অভিযোগ। অধ্যক্ষের ঘরে তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। এর পরই তাঁকে চড় মারেন দীপিকা। তিনি যদিও আক্রান্ত অধ্যাপকের দিকেই আঙুল তুলেছেন।
অভিযুক্ত দীপিকা স্বীকার করেছেন যে তিনিই চড় মেরেছেন। তাঁর দাবি, তিনি ওই শিক্ষকের প্রকাশ্য ধূমপানের বিরোধিতা করেছিলেন। দীপিকার কথায়, “ঘটনার সময় আমি তাঁকে বলেছিলাম, আমি জনসমক্ষে তাঁকে ধূমপান করতে দেখেছি। এই ঘটনা পড়ুয়াদের উপর ভালো প্রভাব ফেলে না। পালটা উনি আমায় গালিগালাজ করেন। তাঁর সেই আচরণের প্রতিক্রিয়ায় এটা ঘটে যায়।”