• হাতের চ্যানেলেই বাড়ছে রহস্য, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে ২ সদস্যের মেডিক্যাল টিম
    এই সময় | ১৮ অক্টোবর ২০২৫
  • কাঁথি মহকুমার হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসক শালিনী দাসের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় গঠন করা হলো ২ সদস্যের মেডিক্যাল টিম। দমদমের মেয়ে শালিনী তাঁর মায়ের সঙ্গে কর্মসূত্রে তমলুকে থাকতেন। পেশায় তিনি অ্যানাস্থেটিস্ট ছিলেন। একাধিক বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতালের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন। শুক্রবার তেমনই একটি নার্সিংহোম থেকে কাজ সেরে ফেরার পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। শালিনীর মায়ের দাবি, শুক্রবার তাঁর মেয়ে বাড়ি ফেরার পরে তিনি দেখেন, মেয়ের হাতে চ্যানেল তৈরি করা আছে। সেই চ্যানেল বাড়ি থেকে বেরনোর সময়ে শালিনীর হাতে ছিল না বলেই জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে মৃত্যুর ঘটনায় বেড়েছে রহস্য।

    মৃত্যুর তদন্তে দুই সদস্যের চিকিৎসক দল গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের দাবি, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। আমরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত।’ পুলিশের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

    শালিনী পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। তারও আগে তমলুক হাসপাতালে ছিলেন তিনি। তমলুক পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন তিনি এবং তাঁর মা। তমলুক পুলিশ সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, শুক্রবার সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে নার্সিংহোমে উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন। প্রথমে যান মহিষাদলের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। সেখান থেকে তমলুকের অন্য একটি বেসরকারি নার্সিংহোম যান। বাড়ি ফেরেন বেলা ১১টায়। তাঁর মায়ের দাবি, বাড়ি ফেরার পরে তিনি দেখেন যে শালিনীর হাতে চ্যানেল করা হয়েছে। তারপরেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে শালিনীর মৃত্যু হয়।

  • Link to this news (এই সময়)