• বন্যায় বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ির ক্রান্তি, দুর্গতদের ত্রাণ দিতে পৌঁছলেন মন্ত্রী
    বর্তমান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: শনিবার ত্রাণ নিয়ে জলপাইগুড়ির ক্রান্তির বন্যা বিধ্বস্ত পশ্চিম সাঙ্গোপাড়া গ্রামে পৌঁছলেন রাজ্যের আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। চাঁপাডাঙা পঞ্চায়েতের পশ্চিম সাঙ্গোপাড়ায় বাঁধ ভেঙে তিস্তার জল ঢুকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৩২৫টি পরিবার । জল নেমে যাওয়ার পর দুর্গতরা ভাঙাচোরা ঘর কোনওমতে সারিয়ে সেখানেই মাথাগোঁজার ঠাঁই করে নিয়েছেন। কিন্তু জলের তোড়ে রাস্তা ভেঙে যাওয়ায় যাতায়াতের সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। যদিও বিপর্যয়ের পরই ওই এলাকায় দুর্গতদের উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রশাসন। বন্যা কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনার পাশাপাশি পৌঁছে দেওয়া হয় ত্রাণ। এরপর এদিন মন্ত্রী ওই এলাকায় রান্নার হাঁড়ি-কড়াই, বাসনপত্র সহ ফোমের বেড, বিছানার চাদর সহ আরও নানা সামগ্রী নিয়ে যান। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ও বাঁধ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন তিনি। প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ক্রান্তি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পঞ্চানন রায়। মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক বলেন, “আমার ব্লকে উত্তর ও দক্ষিণ বাসুসুবা, মাস্টারপাড়া, পশ্চিম সাঙ্গোপাড়া, চ্যাংমারি সহ বিভিন্ন এলাকা মিলিয়ে কয়েক হাজার মানুষ বন্যা কবলিত। তাঁদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি জমির ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব চলছে।” পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, “বাসুসুবায় এখনও ২৭০টি পরিবার এবং চ্যাংমারিতে ৮০টি পরিবার বাঁধের উপর রয়েছে।”এদিন মন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দুর্গতরা দ্রুত রাস্তা ও বাঁধ মেরামতির দাবি জানিয়েছেন। যাঁরা বাঁধের উপর রয়েছেন, তাঁরা যাতে দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থা করার জন্য মন্ত্রীর কাছে আর্জি রাখা হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)