• সাঁইথিয়ার প্রার্থী লীলাবতী, বিজয়া সম্মেলনী থেকে প্রার্থীর নাম ঘোষণা কেষ্টর
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • বছর ঘুরলেই ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে মাথায় রেখে সংগঠন  মজবুত করতে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে দল। প্রার্থীর নাম ঘোষণা নিয়েও সচেতন ঘাসফুল দল। দলের তরফে এখনও কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। আর এর মধ্যেই আগ বাড়িয়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দিলেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল। এদিন সাঁইথিয়ায় তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করলেন তিনি। আর তাতেই দলের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে শোরগোল। দলের বিজয়া সম্মেলনী থেকে লীলাবতী সাহাকে জেতানোর দাবি করেন অনুব্রত। লীলাবতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী বলেও দাবি করেন কেষ্ট। প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে নিশানা করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    এদিন সাঁইথিয়ায় বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান ছিল। সেখান থেকে অনুব্রত বলেন, ‘ছাব্বিশের ভোট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট। প্রার্থী যেই হোক চিন্তা করবেন না। লীলাবতী সাহা ক্যান্ডিডেট মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যান্ডিডেট। জানবেন লীলাবতী না জিতলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হবেন না।‘

    অনুব্রত মণ্ডল ছাব্বিশের বিধানসভায় প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম ঘোষণা করলেও এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নীলাবতী সাহা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থ বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী করতে দলের কর্মীদের প্রতি আবেদন জানান তিনি। উল্লেখ্য, ২০১৬ ও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে সাঁইথিয়া কেন্দ্র থেকে বিজয়ী হন নীলাবতী সাহা। ২০১৬ সালের ভোটে ৩৮ হাজারের বেশি ভোটে থেকে জয়ী হন তিনি। গত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহাকে প্রায় ১৫ হাজার ভোটে পরাজিত করেন তিনি।

    লীলাবতী সাহা নাম ঘোষণা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার খোঁচা দিয়ে বলেছেন,  ‘এবার দেখা যাক কাজল শেখ কী করে। লীলাবতীর লীলা কাজল শেখ কতদিন সহ্য করেন তা দেখার বিষয়।‘

    কাজল-অনুব্রত সংঘাত বাংলার রাজনীতিতে মিথে পরিণত হয়েছে। দল থেকে বারবার দু’জনকে বিবাদ ভুলে একসঙ্গে চলার বার্তাও দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে নানুর ব্লকে দলের নির্দেশ হয়ে গিয়েছে বিজয়া সম্মেলনীর অনুষ্ঠান। সেখানে গিয়েছিলেন কাজল শেখ। সেখান থেকে কাজল বার্তা দেন, এবারের নির্বাচনে নানুর থেকে ১ লক্ষ ১৮ হাজারের বেশি ভোটের লিড হবে। এমনকী  গোটা জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি ভোটের লিড দেবে নানুরই।

    তবে কোনও প্রার্থীর নাম কাজল ঘোষ সেদিন ঘোষণা করেননি। তবে দলের একাধিক বিজয়া সম্মেলনীতে কোর কমিটির সদস্যদের না দেখতে পেয়ে তাঁর অকপট জবাব ছিল, ‘কে মঞ্চে থাকল, কে থাকল না সেটা ম্যাটার নয়। আমরা দলের সবাই নিজেদের দলের কর্মী হিসাবে মনে করি।‘  যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেছিল রাজনৈতিক মহল।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)