নৌসেনার গোপন তথ্য পাকিস্তানে পাচার! ২ ‘গুপ্তচর’কে কারাদণ্ড দিল NIA আদালত
প্রতিদিন | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি। ভারতীয় নৌসেনার গোপন তথ্য শত্রুদেশে পাচার। এমনই গুরুতর অভিযোগে দুই অপরাধীর সাজা শোনাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র বিশেষ আদালত। দুই অপরাধীকে ৫ বছর ও ৬ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এই মামলায় এখনও পর্যন্ত দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন চারজন।
তদন্তকারীদের তরফে জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করা এই দুই অপরাধীর নাম মহম্মদ হারুন হাজি আব্দুল রহমান লকড়াওলা এবং ইমরান ইয়াকুব গিতেলি। ২০২০ সালের মে মাসে গ্রেপ্তার করা হয় আবদুলকে। ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার করা হয় ইয়াকুবকে। তদন্তকারীদের তরফে জানানো হয়েছে, উভয়েরই যোগ ছিল পাকিস্তনের সঙ্গে। দু’জনেরই আত্মীয়রা পাকিস্তনে বাস করেন। সেখানে যাতায়াতের সময় পাক এজেন্টদের সঙ্গে দেখা হত তাঁদের। অভিযোগ, নিয়মিত হোয়াইটঅ্যাপের মাধ্যেম এই অপরাধীরা নৌসেনার গোপন তথ্য পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কাছে পাচার করত। মামলায় আবদুলকে পাঁচ বছর ও ইয়াকুবকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় নৌসেনার তথ্যপাচারের অভিযোগে ২০১৯ সালে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়ওয়াড়া থানায় মামলা রুজু হয়। পরে সেই মামলার তদন্তভার যায় এনআইএ-র হাতে। এই মামলায় মোট ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার মধ্যে নৌসেনার ১১ জন কর্মীও ছিলেন। ২০২০ সালের জুন মাসে মোট ১৪ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছিল এনআইএ। পরে ২০২১ সালের মার্চে আরও একটি চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এই মামলায় আগেই দু’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। এ বার আরও দু’জনকে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হল।
এনআইএ সূত্রের খবর, পাকিস্তান থেকে ভারতের কিছু নৌসেনা কর্মীর অ্যাকাউন্টে আর্থিক লেনদেনের সূত্র ধরে গুপ্তচরবৃত্তির এক বিরাট নেটওয়ার্ক তদন্তকারীদের নজরে আসে। ২০১৯ সালে এই মামলার তদন্তে নামে এনআইএ। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার মধ্যে ১১ জন নৌসেনার কর্মী। মামলার তদন্তে নেমে ২০২০ সালের জুন মাসে প্ চার্জশিট পেশ করে তদন্তকারীরা। ২০২১ সালের মার্চ মাসে দ্বিতীয় চার্জশিট পেশ করা হয়। এখনও পর্যন্ত এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ৪ জন।