• প্রেমে অমত দুই বাড়ির! অভিমানে নাবালিকা প্রেমিকাকে নিয়ে ‘আত্মঘাতী’ প্রেমিক
    প্রতিদিন | ১৯ অক্টোবর ২০২৫
  • অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: বাড়ির অমতে প্রেম। খড়গপুরে আত্মঘাতী যুগল। হাসপাতালে ভর্তি করেও হলনা শেষরক্ষা। প্রেম নিয়ে উভয় পরিবারের অমত ছিলই। তার উপর আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার ইচ্ছা প্রকাশ করে যুগল। সেই নিয়েই লাগাতার অশান্তি এবং মন কষাকষি। এর ফলে মানসিক অবসাদ থেকেই শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হল দু’জন।

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতী হয় ওই দু’জন। এরপরেই দু’জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁদের। ঘটনাটি ঘটেছে সবং থানার নারায়ণবাড় গ্ৰাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে মৃত দু’জন ২২ বছরের সুজন শিট এবং ১৬ বছরের এক নাবালিকা। দু’জনেরই বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর এলাকায়।

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নারায়ণবাড় এলাকার ২২ বছরের এই যুবকের সঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর এলাকার ১৬ বছরের এক নাবালিকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর এই সম্পর্কের বিষয়টি জানার পর থেকেই উভয় পরিবারে অশান্তি শুরু হয়। এরমাঝেই, দু’জন বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের কথা জানতে পারে উভয় পরিবারের অভিভাবকরা। প্রবল আপত্তি ওঠে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে।

    বাড়ির অমতের কথা জানতে পেরে সুজন প্রেমিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। সবং থানায় নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে গত ১১ অক্টোবর অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তল্লাশি শুরু করে। সবং থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে দুই বাড়িতে জানায় তাঁরা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে।

    এদিকে, কীটনাশক খেয়ে দু’জনই অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাতেই সুজনের পরিবার দু’জনকে সবং গ্ৰামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁদের অবস্থার অবনতি হলে নাবালিকাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু এরপরেও শেষরক্ষা হয়নি। শুক্রবার রাতে দুই হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার জেরে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)